সদ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকুর রহীম। এতে তিনি জায়গা করে নিলেন আইসিসির মে মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ঠিক এক বছর আগে মে মাসেরই সেরার তালিকায় তিনি প্রথমবার জায়গা পেয়ে জিতে নিয়েছিলেন ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর স্বীকৃতি। গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সোমবার পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। পুরুষদের মাস সেরার লড়াইয়ে তিনজনই এশিয়ার। দ্বিতীয়বার সম্মাননাটি জিততে হলে মুশফিককে পেছনে ফেলতে হবে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও আসিথা ফার্নান্দোকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ম্যাথিউস ও বল হাতে নৈপুণ্য দেখান লঙ্কান পেস তারকা আসিথা। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে পাকিস্তানের তুবা হাসান ও বিসমাহ মারুফ এবং জার্সির ট্রিনিটি স্মিথের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। তবে ব্যাট হাতে নিজের কাজ ঠিকঠাকই করেন মুশফিক। ড্র হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে দলের প্রথম ইনিংসে ১০৫ রান করেন তিনি। এই ইনিংসের পথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েন ৫ হাজার টেস্ট রানের কীর্তি। মিরপুর টেস্টে দল যখন ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল, তখনও হাসে মুশফিকের ব্যাট। ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে উদ্ধার করেন তিনি। লিটন কুমার দাসের সঙ্গে গড়েন রেকর্ড জুটি।
সিরিজে ১৫১.৫ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৩ রান করেন মুশফিক। এই পারফরম্যান্স তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ করে দিলো আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে। লঙ্কানদের বিপক্ষেই ভালো করায় গত বছর প্রথমবার এই স্বীকৃতিটি উঠেছিল তার হাতে। সেবার দুই দলের লড়াইটা ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা। ভোটিং একাডেমিতে থাকেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। ই-মেইলে ভোট দেন তারা। আর নিবন্ধিত সমর্থকরা ভোট দিতে পারেন আইসিসির ওয়েবসাইটে।