আবারো হাফেজে কুরআনদের বিশেষ সম্মননা দিল তুরস্ক। দেশটির কোজায়েলি প্রদেশের দারুল ইফতা এই সম্মাননার আয়োজন করে। তুর্কি নিউজ এজেন্সি জানায়, স্থানীয় সময় গত শনিবার তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক প্রধান প্রফেসর আলি এরবাশের উপস্থিতিতে অন্তত ৫০ জন হাফেজে কুরআনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। এ সময় আলি এরবাশ বলেন, ‘আমি সব হাফেজদের জন্য বরকতের দোয়া করছি। যারা পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে নিজেদের হৃদয় আলোকিত করে নিয়েছে এবং কুরআন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাতারে নিজেদের শামিল করেছে।’ একইসাথে শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলি এরবাশ। গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘কুরআনের বরকতে হাফেজরা সুরক্ষিত থাকবে।’
পবিত্র কুরআনকে মহাবিস্ময় আখ্যায়িত করে এ ইসলামী স্কলার বলেন, ‘দুনিয়ার সবচে বড় মুজিজা (অলৌকিক বিষয়) হলো পবিত্র কুরআন। আল্লাহ কুরআন নাজিল করেছেন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করার জন্য। এটি আল্লাহর রাসূল সা:-এরও বড় মুজিজা এবং ইসলামের প্রধান উৎস।’ হাদিস শরিফের উদ্ধৃতি দিয়ে আলি আরবাশ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কুরআন শেখে ও শেখায়, সে-ই সর্বোত্তম। হাফেজ আল্লাহর কাছে প্রশংসিত।’ তুর্কি ধর্ম বিষয়ক অধিদফতর ২০২০ সালে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন হিফজ ও ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে। সেই প্রকল্পের অধীনেই ৫০ জন শিক্ষার্থী হিফজ সম্পন্ন করলো। এদিকে খুব শিগশির-ই দেশটি তার প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ করবে। এ পর্যন্ত গোটা তুরস্কে অসংখ্য মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিছুদিন আগের করা এক সার্ভেতে দেখা যায়- দেশটিতে মসজিদ সংখ্যা অন্তত ৯০ হাজার। আর মসজিদগুলোতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কুরআন হিফজ ও কুরআনের উচ্চতর শিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।
সূত্র : তুর্কি নিউজ এজেন্সি