কৃষিই অর্থনীতির একমাত্র রক্ষাকবজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাংলাদেশের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মূল আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আতিউর রহমান বলেন, কৃষিই অর্থনীতির একমাত্র রক্ষাকবজ। কৃষিখাতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দেশের কৃষকদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে হবে। সেইসঙ্গে দেশে ভারসাম্য অর্থনীতি বজায় রাখার পাশাপাশি সরকারকেও আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে কৃষির ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতটিতে বাজেট বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোসহ কৃষিকে আরও স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে। বাজেটে কৃষির বিকাশ নিশ্চিত করার উদ্যোগ থাকতে হবে। এছাড়া কৃষি ভর্তুকি তিনগুণ বাড়িয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা করে কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবলের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বরাদ্দ রাখতে হবে। কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যক্তিগতভাবে এবং ব্যক্তিখাতে যারা কৃষি গবেষণা করছেন তাদের জন্য প্রণোদনা দিতে হবে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি বাজারজাতকরণ এবং তথ্য আদান-প্রদান বাড়াতে হবে এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে দেওয়া প্রণোদনাগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া কৃষি অবকাঠামো এবং অনলাইন কৃষি বাজারজাতকরণ বাড়াতে বিনিয়োগ নিশ্চিত হলে কৃষিতে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জৈবসার ব্যবহারে উৎসাহিত করতে আলাদা প্রকল্প দরকার হবে। অনানুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণাভিত্তিক উদ্যোগের জন্য ‘ইনোভেশন ফান্ড’ বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরি বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।