নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী এলাকায় বাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কয়েকটি এলাকায় নদের তীরবর্তী সমতল ভূমিতে ব্যাপক বাদাম চাষ হয়েছে। চরাঞ্চলের পলি বিধৌত পূর্ব সমতলভূমি হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই । বাদামের বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। বেলাব উপজেলার চরাঞ্চল খ্যাত বিন্নাবাইদ ইউনিয়ন এর বাঘবেড়, কাসিমনগর, বীরকান্দাসহ আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী এলাকায় বাদামের ব্যাপক চাষ হয়েছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে মাঠে মাঠে ব্যাপক বাদাম চাষ করা হয়েছে। যে দিকে চোখ যায় দিগন্ত জুড়ে বাদাম ক্ষেত আর কৃষকদের কর্মব্যস্থতা দেখা যায়। বাদম চাষী খালেক জানান, মাটি, আবহাওয়া, সহজ চাষাবাদ আর ফলন বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আমার আগ্রহ বেশি। আসাদ মিয়া বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। প্রচুর ফলন পেয়েছি। বাদম বিক্রির টাকায়ই আমার পরিবারের সকল খরচ প্রায় ৬ মাস যাবে। আশরাফুল বলেন, আমাদের পরিবারের অনেকেই বাদাম চাষ করে লাভবান। উপকারী কোলেস্টেরল পাওয়া যায় বাদামে। এতে থাকে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফাইবার থাকায় বাদাম খেলে হজমের সমস্যায়ও দূর হয়। বাদাম খেলে হৃদপিন্ড সক্রিয় থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাদাম। বাদাম খেলে হাড় ও মাংসপেশি মজবুত হয়। বাদামে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের উপকারিতা প্রচুর। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বাদামের নানা ধরনের উপকারিতা ও সুস্বাদু খাদ্যোপকরণ থাকায় এর চাহিদা অনেক বেশি। আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের জমিগুলোর উর্বরতা বেশি থাকায় বাদাম চাষ বেশি হয়। এ সময় কৃষকরা বাদামের পাশাপাশি ডাল, তিল, ছোলা এসবের চাষও করে। বেলাব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উর রউফ খান জানান, বেলাবো উপজেলার অনেক এলাকা বাদাম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। আন্তরিক হলে লাভজনক এ ফসল ব্যাপক চাষাবাদ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক সাফল্য ও পারিবারিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।