বর্ষার আগমনকে ঘিরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন নদী-খাল ও বিলে বাড়ছে পানি। যে কারনে নৌকার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে তৈরি হচ্ছে নৌকা। পানি বেশি হলে কদর বাড়বে নৌকার। দামও হবে চড়া, এমনটি বলছিলেন উপজেলার নালুয়া বাজারের পাশে অবস্থিত নৌকার কারিগর মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে জাহাঙ্গীর এ পেশায় জড়িত বলে জানাগেছে। ১২মে (রোববার) জাহাঙ্গীর এর সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। এ সময় তিনি জানান তার কারখানায় রেডিমেট এবং অডারি ডিঙ্গি নৌকাসহ বিভিন্ন প্রকার নৌকা তৈরি করা হয়। তারমধ্যে বেশীর ভাগ নৌকা মেহগুনী কাঠ দ্বারা তৈরি হয়। এছাড়া ওয়ার্ডার অনুসারে অন্যাঅন্য কাঠের নৌকাও প্রস্তুত করা হয়। ১০ হাত দৈর্ঘের মেহগুনী কাঠের প্রতি নৌকা তিনি বিক্রি করছেন ৩৫০০ টাকা, একই কাঠের ১২হাত দৈর্ঘের একটি নৌকা তিনি বিক্রি করছেন ৭৫০০টাকা এবং অডারী গুলো খরিদ্দারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তুত করে দেন। জাহাঙ্গীর আরো জানান, জেলাও উপজেলার নৌকার ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে পাইকারী নৌকা কিনে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। ক্রেতাদের নিকট খুচরাও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে ৬ মাস তিনি তার কারিগরদের নিয়ে নৌকা তৈরি কাজে ব্যস্ত থাকেন। মৌসুম চলাকালে কারিগরদের পারিশ্রমিকও অন্যন্য খরচ বাদে তার প্রায় দেড়লক্ষাধিক টাকা মুনফা আসে বলে জানান। এ লভ্যাংশের টাকা মজুদ করে তিনি পাশেই ডিজেল চালিত একটি করাত কল বসিয়েছেন। সব মিলে নৌকা তৈরী করে জাহাঙ্গীর এখন স¦াবলম্বী । তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে অনেক ভালো আছেন বলে জানান।