হাসপাতালে আইসিউ প্রস্তুত রাখার পরামর্শ
দেশে ফের করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৭ জনে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৩২ জন। ৩৫৭ জনের মধ্যে রাজধানীতেই ৩২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু শূন্য। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৩১ জন। নতুন শনাক্ত নিয়ে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, দেশে ৮৭৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২২৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৬ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪২ লাখ ৫ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দেশে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৫৯৭ জন এবং নারী ১০ হাজার ৫৩৪ জন।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ঢাকা মহানগরের রয়েছেন ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৩৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে শূন্য, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে শূন্য, রংপুর বিভাগে শূন্য, খুলনা বিভাগে শূন্য, বরিশাল বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে শূন্য রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
হাসপাতালে আইসিউ প্রস্তুত রাখার পরামর্শ: দেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের চাপ সামাল দিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাসপাতালগুলোতে বিশেষ শয্যার পাশাপাশি ও আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার (১৫ জুন) রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি দিনগুলোতে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিল, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোতে (মসজিদ, মন্দির ও গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।