গতকাল শহরস্থ বাগান বাড়ীর পূর্বপাশে মেঘনার তীরে আকস্মিক নদী ভাঙন শুরু হয়। পানির তোড়ে মূহুর্তের মধ্যে খাজা রাইস মিলের অফিস কক্ষসহ একাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়। এছাড়া পাশের রহমত ইন্ডাষ্ট্রিজ রাইস মিলের ২টি টিনসেট পাকা ঘরসহ ২জন শ্রমিক নিঁেখাজ হয়ে যায়। তারা হলেন, চাতাল শ্রমিক ২ সন্তানের জনক মোস্তাক(২৮) ও মেশিন অপারেটর ৪ কন্যা সন্তানের জনক শরীফ(৩৫)। মোস্তা বাজিতপুর থানার আয়নার গোপ এলাকার কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র। নিহতের পরিবার লোকজন জানায় ভাঙন শুরু হলে মোস্তাক ও শরীফ বসত ঘর থেকে ফ্রিজ বের করতে গেলে ঘরসহ তারা নদীতে তলিয়ে যায়। নিঁেখাজ ২জনের স্বজনদের আজাহারীতে মেঘনা পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। রমহত ইন্ডাষ্ট্রিজ রাইস মিলের মালিক মোঃ ইসহাক মিয়া জানান-কিছুক্ষণের ভাঙনে নদী পাড়ের ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩০ মিটার প্রস্ত জায়গা ৪টি ঘরসহ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। তৎক্ষণাত খবর পেয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস এবং ভৈরব নদী ফায়ার ষ্টেশন যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ঘটনার ১ঘন্টা পর ভৈরব নদী ফায়ার ষ্টেশনের ২জন ডুবুরি উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ ফায়ার ষ্টেশনের ১জন ডুবুরি এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ঘটনার ৮ঘন্টা পরেও গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন লাশ উদ্ধার হয়নি। খবর পেয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ ভৈরব চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ইউএনও সাদিকুর রহমান সবুজ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনদের সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। গত শুক্রবার থেকে টানা ২দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ভৈরব বাজার মেঘনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৪২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ভৈরব শাখার গেজ রিডার হাফিজুর রহমান জানান শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি ২৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভৈরবের নদীর পানি বিপদ সীমার ১শ ৯ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভৈরবে নদী ভাঙনের খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও নিঁেখাজ ২জনের স্বজনদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।