জামালপুর জেলার সার্বিক বন্যার পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি ঘটেছে। পাউবো সুত্রে জানাগেছে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি ০৮ সেন্টি মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২৮সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকসিগঞ্জসহ জামালপুর সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়েগেছে। বিশেষ করে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলার পার্থর্শী কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া ও ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন। মেলান্দহ উপজেলার, শ্যামপুর, মাহমুদপুর আদ্রা ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন। মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ও চরপাকেরদহ ইউনিয়ন। সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, ইউনিয়ন।বকশিগঞ্জ উপজেলার সাদুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর, ইউনিয়ন, জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর, ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের মন্ডল বাজার এলাকায় ভেঙ্গে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি বাজার রোড়ে জিঞ্জিরাম নদীর উপর সেতুর অদূরে দক্ষিন পাশের্ব ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধের ব্যাবস্থা না নিলে হয়তো সেতুর সংযোগ সড়ক নিশ্চিহ্ন হতে পারে বলে এলাকাবাসিরা জানিয়েছেন। এসব এলাকার মধ্যে ইসলামপুর উপজেলার যমুনার দুর্ঘম দ্বীপচর হরিণধরা, জিগাতলা, চরবেড়কুশা, বরুল, মুন্নিয়া, সিন্দুরতলি, চরচেঙ্গানিয়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া ও চর বিশরশির এলাকায় বন্যার পানিতে সয়লাভ করেছে। এসব এলাকায় পাট, আখ, শাক-সবজি, বীজ তলা পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্তাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত পাঁচ’শ ৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আউশ ধান ৬৪ হেক্টর, পাট তিন’শ ৭০ হেক্টর, শাকসবজি ৫৯ হেক্টর এবং মরিচ ১১ হেক্টর। এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০টি পরিবারকে রেলওয়ে স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তিনি বলেন বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যাদুর্গতদের জন্যঅগ্রীম ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।