ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোর করে বৃষ্টির ভেতর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহন করানো হয়। আওয়ামীলীগ নেতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নির্দেশে গোহাইলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোড়া খুনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিনে থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই মানববন্ধন করানো হয়। উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী বাজারে শিনবার (১৯ জুন) সকালে মামলার বাদি ও গোহাইলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের নেতৃত্বদেন। গত ৩ মে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের দিনে উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও স্থানীয় মৃত বজলুর রহমান ওরফে বজলু খালাসির ছেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেনের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ড ঘটনার পাঁচদিন পর গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গোহাইলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী জানান, নিহতের দুই ছেলে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে কারনে সহপাঠীরা মানবন্ধনে গিয়েছিলো তবে পাঠদান বন্ধ রেখে নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী শিক্ষার্থীদের জোর করে মানববন্ধনে আনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিহত দুই জনের মধ্যে এক জনের দুটি ছেলে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেই কারনে মানববন্ধনে অন্য শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঠদান বন্ধ রেখে কোন প্রকার মিটিং, মিছিল, মানববন্ধন করা যাবে না। বিষয়টি আপনার কাছ থেকে আমি জানলাম। এব্যাপারে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এ মামলায় ৬১ জন আসামী উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন নিয়েছে। আদালত তাদের নি¤œ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দায়েরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।