দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরখ্যাত দেশের বৃহৎ প্রকল্পের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ ও প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের সড়ক এখন খানাখন্দে ভরা নরকে পরিনত হয়েছে। দৃশ্যমান সড়কটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জনবহুল দু’টি ইউনিয়ন মাতারবাড়ী-ধলঘাটার ব্যস্ততম একমাত্র প্রধান সড়ক। এতে প্রতিদিন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে সরকারী-বেসরকারী চাকরীজিসহ প্রায় হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। চলিত মৌসুমে ভারী বর্ষণের প্রকোপে মাঝখানে ভয়াবহ ছিদ্র হওয়ায়। সড়কটিতে প্রতিনিয়ত যান চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এছাড়াও উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের ওলিগলিগুলি অবস্থা বেহাল দশায় পরিনত! এতে সাধারণ মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। এমন কি সড়ক সংস্কারের জন্য খুলে রাখা পুরো মহেশখালীর খানাখন্দ ভরা প্রধান সড়কের অবস্থাও একই। উল্লেখিত সড়কটির কিছু অংশ ব্রিক সলিং যা চলাচলের অনুপযোগি। প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে চলন্ত গাড়িতেই সন্তান প্রসব হয়েছে হওয়া শঙ্কায় সচেতনমহল। গৃহবধূ ভাই রিফাত জানান, হঠাৎ প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে নিয়ে এ সড়কে যাতায়ত করলে সিএনজি বহনকৃত গাড়ীটি প্রসব হওয়ার সম্ভনা। সচেতনমহলের ভাষ্য সড়কটি সংস্কারের জন্য কিছু কিছু খোলে ফেলেছে। তবে কেন তারা বর্ষাকালে সংস্কারের জন্য ব্যস্ততম রাস্তা খোলে আমাদের কষ্ট দেয়। খানাখন্দ রাস্তায় গাড়ি চলতে তীব্র ঝাঁকুনি হয়। একদিকে প্রসব বেদনা অন্যদিকে গাড়ির ঝাঁকুনি-দুই যন্ত্রণায় ডেলিভারিও রোগিও গাড়িতে যতক্ষণ সময় পার করে তৎক্ষণই চিৎকার করে। চলাচলকারী যানের ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষ অতিশীঘ্রই সড়ক সংস্কার করার দাবী তোলে। এ সড়কের এমন দুদর্শার শিকারে যেন আর কোনো মায়ের জাতের প্রসব বেদনায় না পড়ে! উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সবুজ কুমার দে জানান, সড়কটি ট্রেন্ডার হয়েছে এবং কাজও চলমান রয়েছে খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।