পাটুরিয়া ঘাটে এসেই সরাসরি ফেরিতে উঠছে পরিবহন। ফলে ঘাটনির্ভর প্রতিটি দোকান ও ফেরিওয়ালাদের আয় কমেছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগের ব্যস্ততম নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে এই নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রী চাপ কমেছে কয়েক গুণ। এতে ঘাট এলাকায় হকার, মুদি দোকান ও হোটেল ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেচাবিক্রি কমেছে অর্ধেকের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে পাটুরিয়া ৩ নম্বর ঘাট এলাকার মুদি দোকানদার কামাল শেখ বলেন, ‘দুইজনে মিলে আগে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা দোকান করতাম। এতে ৬/৭ হাজার টাকা বিক্রি হতো। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই নৌরুটে যানবাহনের চাপ না থাকায় বেচাবিক্রি নেই। এখন দিনে দুই হাজার টাকার মালামালও বিক্রি হয় না।’ ঘাট পাড়ের হোটেল ব্যবসায়ী আজমত মিয়া বলেন, ‘গত তিন ধরে ঘাট এলাকায় লোক সমাগম নেই। ফলে বেচাকেনা করতে পারছিনা। এভাবে চলতে থাকলে হোটেলের স্টাফদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না।’
শনপাপড়ি বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, ‘পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে স্বাভাবিক সময়ে এক ড্যাক শনপাপড়ি বিক্রি করতাম। এতে প্রতিদিন গড়ে ৫/৬ হাজার টাকা বিক্রি হতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর তিন দিনেও এক ড্যাক শনপাপড়ি বিক্রি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে অন্য কোথাও যেতে হবে।’
আনারস বিক্রেতা তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই ঘাটে আনারস বিক্রি করি। এ আয় দিয়েই সংসার চলে। কিন্তু এখন তো বেচাকেনা নাই। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে উপকৃত হতাম। হঠাৎ করে এ অবস্থা হওয়ায় নতুন কোনো কাজেও যোগ দিতে পারছিনা।’
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন হকারদের নতুন করে কর্সসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ধরে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। অদক্ষদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’-রাইজিংবিডি