সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। মানুষ আত্মরক্ষায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছেন। ভয়াবহ বন্যায় খাদ্য-ত্রানের জন্য মানুষের হাহাকার শুরু হয়। বন্যার শুরু থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও পানিবন্দী খতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ও থানার অফিসার ফোর্সরা। ওসি মিজানুর রহমান তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সর্ব সাধারণের কাছে। ওসি মিজানুর রহমান ইতিমধ্যে দল-মত-নির্বিশেষে থানা পুলিশের টিম নিয়ে সকল ধরনের অপরাধ বন্ধ ও ডাকাতি, খুন, যখম, মাদকমুক্ত, বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জায়গায়-জমি, তুচ্ছ ঘটনার বিরোধে- মারামারি হলে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে আপোষে নিষ্পত্তি করে তিনি ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন। পুলিশ সম্পর্কে মানুষের যে সাধারণ ধারণা, সেই জায়গায় ওসি মিজানুর রহমান একদম ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করেন বলে জানান থানার সেকেন্ড অফিসার জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার। উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা মুক্তার মিয়ার ছেলে সমাজকর্মী মোঃ ইসহাক মিয়া জানান, বন্যার শুরু থেকে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অফিসার ফোর্সরা বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে ত্রান নিয়ে দাড়িয়েছেন। মানুষ হতে হলে কী ধরনের মানবিকতাবোধ থাকতে হয়, ওসি মিজানুর রহমান স্বরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে ত্রান সামগ্রী নিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।