বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

কেমিক্যালের দাম বাড়ায় চামড়ার ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরীতে একাধিক কারখানা ভাড়ায় চলে। এসব কারখানার মালিক প্লট বরাদ্দ পেলেও অন্যদের ভাড়া দিয়েছেন। তারা মূলত ওয়েট ব্লু চামড়া সরবরাহ করেন বায়ারদের কাছে। তবে কেমিক্যালের দাম দুই থেকে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, কয়েক বছর ধরে দাম কম রয়েছে কাঁচা চামড়ার। গতবার কোরবানির পর একটু ভালো ছিল চামড়ার বাজার। এবার চামড়ার দাম আগের মতো থাকলেও কেমিক্যালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে এ ব্যবসা বন্ধ করে অন্য ব্যবসায় চলে গেছেন। অন্যদের অবস্থাও নাজুক। আমরা ওয়েট ব্লু করতে চাইলে এখানে ৪৫ ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার হয়। এর মধ্যে কিছু কেমিক্যালের দাম চারগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে একটা দাম বাড়লে দেশি ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়িয়ে দেন। এতে আমরা যে চামড়া কিনি তার তিনগুণ কেমিক্যালের পেছনে খরচ করতে হচ্ছে। কেমিক্যালের ব্যবসা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, এতে সবাই কেমিক্যাল কম দামে পাবে আবার চামড়ার ব্যবসাও ভালো হবে। প্রান্তিক পর্যায়েও দাম বেড়ে যাবে।
এসব ব্যবসায়ীর মতে, আমাদের দেশের চামড়া শিল্প এখন চীনের কাছে জিম্মি। তারা যে দাম দেয় আমাদের সে দাম মেনে নিতে হয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ছিল মালের দরদাম হতো, এখন এককভাবে ব্যবসা করছে চীন। তাছাড়া কেমিক্যালের ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট রয়েছে। বন্ডের আওতায় মাল আসে তাই যাদের বন্ড আছে তারা চামড়ার মূল ব্যবসা ছেড়ে কেমিক্যালের ব্যবসা করছেন। ইচ্ছামতো কেমিক্যালের দাম নির্ধারণ করছেন। জরব ট্যানারি বা সাব-কন্টাক্ট নিয়ে কাজ করা তারিক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা ওয়েট ব্লু করতে চাইলে এখানে ৪৫ ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু কেমিক্যালের দাম চারগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে একটা দাম বাড়লে দেশি ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়িয়ে দেন। এতে আমরা যে চামড়া কিনি তার তিনগুণ কেমিক্যালের পেছনে খরচ করতে হচ্ছে। কেমিক্যালের ব্যবসা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, এতে সবাই কেমিক্যাল কম দামে পাবে আবার চামড়ার ব্যবসাও ভালো হবে। প্রান্তিক পর্যায়েও দাম বেড়ে যাবে।
আমাদের ব্যবসা চায়নার কাছে জিম্মি। লোকাল এজেন্সিরা বেশি কথা বলতে পারে না। আমরা চামড়া ব্যবসা ছাড়তে পারি না, আবার করতেও পারি না। বাকিতে মাল কিনি, সবই পাওনা থাকে। মাল বেঁচে টাকা পেলে কারখানায় অর্ধেক দিয়ে দেই, কেমিক্যাল দোকানে অর্ধেক পরিশোধ করি, এভাবে ব্যবসা করছি। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করে না। আশাকরি সামনে দাম বাড়বে, কাজ ভালো হবে, সব দেশের ক্রেতা আসবে আমিও ঋণমুক্ত থাকবো।
মইনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ব্যবসা চায়নার কাছে জিম্মি। লোকাল এজেন্সিরা বেশি কথা বলতে পারে না। আমরা চামড়া ব্যবসা ছাড়তে পারি না, আবার করতেও পারি না। বাকিতে মাল কিনি, সবই পাওনা থাকে। মাল বেঁচে টাকা পেলে কারখানায় অর্ধেক দিয়ে দেই, কেমিক্যাল দোকানে অর্ধেক পরিশোধ করি, এভাবে ব্যবসা করছি। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করে না। আশাকরি সামনে দাম বাড়বে, কাজ ভালো হবে, সব দেশের ক্রেতা আসবে আমিও ঋণমুক্ত থাকবো। তৌহিদ নামে অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, বন্ডেড যারা আছে তারা কেমিক্যাল আনেন, নিজেদের মতো করে দাম রাখেন। তবে কেমিক্যাল ব্যবসা উন্মুক্ত করে দিলে ভালো হয়। অনন্ত ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত করা উচিত এতে সরকার ট্যাক্স পাবে, রাজস্ব বাড়বে আবার প্রান্তিক পর্যায়ে চামড়ার বাজারও ভালো হবে। আমরা ওয়েট ব্লু চামড়ায় ৪৫টি কেমিক্যাল ব্যবহার করি। সবগুলোর দাম বাড়তি। সালফিউরিক অ্যাসিডের লিটার ১৮ টাকা ছিল এখন ৫০ টাকার ওপর। আবার কেমিক্যাল পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে প্রতিটিরই দামই বেড়েছে। জবর কারখানা বা ভাড়ায়চালিত কারখানা বেশি পরিবেশ দূষণ করছে- এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিসিকের সক্ষমতার চেয়ে বড় শিল্প ট্যানারি শিল্প। এটা ছোট বা ক্ষুদ্র শিল্প নয়, বিসিকের সক্ষমতা নেই, পরিবেশ তো তারাই দূষণ রোধ করবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শোধনাগার অচল থাকে। সাতদিন করে সব কারখানা বন্ধ রাখতে হয়, ময়লা পরিষ্কার হলেও আবার সাতদিন পর কারখানা চালুর অনুমতি দেই। এটা কেন হবে, এমন প্রশ্ন রাখেন জবর বা ভাড়া কারখানায় ব্যবসা করা উদ্যোক্তারা।-জাগোনিউজ২৪.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com