যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট তার ফেসবুকের ওয়ালে লিখেছেন, গণতন্ত্র কাউকেই অপরিহার্য করেনা। তিনি আরো লিখেছেন,‘রাজনীতিতে কেউই এমন কি সামান্যও অপরিহার্য নয়’ এই কথাটা আপনি কেবল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ই বলতে পারবেন, এমন কথা শুনতে পারবেন। গণতন্ত্র হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে এমন কি সবচেয়ে ডিসগ্রেসড বা অপমানিত প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রচলিত ব্যবস্থায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন, তিনিও এটা জানেন এবং বলেন যে তাঁর দলের ব্যবস্থাই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে। নিজের কার্যকলাপের কারণে যিনি নৈতিকভাবে ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারিয়েছেন তাকে এমন কি একটি রক্ষণশীল দলের নেতারা, যাদের কেউ কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, নিজেদের স্বার্থেও ক্ষমতায় রাখতে চাননি। কেননা তাঁদের জবাবদিহি হচ্ছে জনগনের কাছে, আগামী নির্বাচনে তাদেরকে ভোটারদের মোকাবেলা করতে হবে — ভোটাররা চাইলেই তাঁদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। গণতন্ত্র কাউকেই অপরিহার্য করেনা একমাত্র নাগরিকের সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। নাগরিকের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ ঘটে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে দল হচ্ছে গণতন্ত্রের অনিবার্য উপাদান। দল ব্যক্তির ওপরে, গোষ্ঠীর ওপরে। এর বাইরে যে ব্যবস্থা তাকে আপনি যে নামেই ডাকেন না কেনো গণতন্ত্র বলে অভিহিত করতে পারেন না।