সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

গরুর ট্রাকে বাড়ির পথে

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২

বাসের টিকিট না পেয়ে উত্তরবঙ্গগামী অনেক যাত্রী গরু পরিবহনের ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন। ঈদ সবার কাছে আনন্দের হলেও ঘরেফেরা মানুষের কাছে ঈদযাত্রা অনেকটা ভোগান্তির নাম। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া, শিডিউল বিপর্যয়, টিকিট সংকটসহ সড়কে দীর্ঘ যানজটে ঈদযাত্রা স্বস্তির হয় না অধিকাংশ মানুষের কাছে। এমনকি বাসের টিকিট না পেয়ে উত্তরবঙ্গগামী অনেক যাত্রীকে গরু পরিবহনের ট্রাক, ঢাকায় চলাচল করা লোকাল বাসে চড়ে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলা বিআরটিসির দোতালা বাসও ঘরে ফেরা যাত্রীদের নিয়ে উত্তরের জেলায় ছুটছে। এবারের ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও বাস্তবে এর প্রভাব নেই। গতকাল শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, ঘরে ফেরা যাত্রীদের যেন ঢল নেমেছে। বেশি ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগ সময় মতো বাস ছাড়তে পারছে না কাউন্টারগুলো।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাদ মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে ফরিদপুর নতুন স্টেশনের ভাড়া ৩৫০ টাকা। কিন্তু এখন এক হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হলো। এরপরও সময়মতো বাস ছাড়ছে না। সুবর্ণ পরিবহনে বাস বেলা ১১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বাস ছাড়েনি।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সাব্বির জানান, জায়গায় জায়গায় হাট বসার কারণে মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। বাস আসতে দেরি হচ্ছে। ফলে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছাড়তে পারছি না। তবে বাস আসা মাত্রই আমরা যাত্রী উঠিয়ে দিচ্ছি।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, তালিকা অনুযায়ী আমরা ভাড়া কাটছি। গত ৫ জুলাই আমাদের সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এখন আর টিকিট বিক্রি করছি না। তাই অতিরিক্ত ভাড়া রাখার বিষয় আসছে না।
এই কাউন্টারের মতোই অনেক কাউন্টারেই রাজশাহী, রংপুর, বগুড়ার বাসের টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। তবে কাউন্টারের বাইরে অনেক লোকাল বাসকে এসব রুটে যাত্রী নিতে দেখা গেছে৷ এসব গাড়িতেও বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে শুধু বাসই নয়, গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকেও অনেককে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। গরু ঢাকায় আনার পর অধিকাংশ ট্রাকেই বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। গাবতলী থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত এসব ট্রাকে জন প্রতি ২০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এছাড়াও রাজধানীতে চলাচল করে এমন কয়েকটি বাস পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। এই রুটে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে।
এদিকে, যাত্রী হয়রানি কমাতে বিআরটিএ, পুলিশ, সিটি করপোরেশন, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গাবতলীতে বসেছে ভিজিলেন্স টিম। সেখানকার দায়িত্বে থাকা বিআরটিএ’র ডেপুটি ডিরেক্টর সুব্রত দেবনাথ বলেন, ভাড়া নিয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আমরা জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। তবে বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ বাস সময় মতো ছাড়ছে না। ভাড়া নিয়ে খুব একটা অভিযোগ নেই, টাইম শিডিউল নিয়েই বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ। গাড়িগুলো আশা মাত্রই আমরা ছাড়ার ব্যবস্থা করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com