রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় পেশায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই-’২২) ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২২’ পালনের কথা জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ও চ্যালেঞ্জিং শ্রমবাজারে টিকে থাকার জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে এ দিবস পালনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নকে গতিশীল করার পূর্বশর্ত দক্ষ জনশক্তি। বর্তমান বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে শিল্প কলকারখানাগুলো উচ্চমাত্রার কার্যক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে ডিজিটাইজেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ই-কমার্স, আইটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো প্রযুক্তি প্রভূতি ক্ষেত্রগুলো ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে-সাথে অনেক পেশার অবলোপন যেমন হয়েছে, তেমনি নতুন নতুন পেশার দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
দক্ষতা অর্জনকে সরকার একটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম হিসেবে গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে এনএসডিএ। দক্ষতা ও প্রশিক্ষণকে সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমকে সমন্বিতভাবে পরিচালিত করার পাশাপশি, মান উন্নয়ন ও মান তদারকিতে রেগুলেটরি অথরিটি হিসেবে এনএসডিএ’র ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা করেন, শ্রমবাজারের চাহিদা ও পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ, এ সকল কার্যক্রমে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিদ্যমান সামাজিক নেতিবাচক ধারণা দূরীকরণে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস