বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর অসংখ্য নারী আক্রান্ত হন জরায়ুমুখ ক্যানসারে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মৃত্যুবরণ করেন। সব ধরনের ক্যানসারই শরীরে অনেকটা নিভৃতেই বাসা বাঁধে। আর এ কারণে প্রাথমিক অবস্থায় সবজে ধরা শনাক্ত করা যায় না ক্যানসার। এতে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে পুরো শরীরে। যদিও কিছু কিছু উপসর্গ শরীরে ফুটে ওঠে, তবে তা সাধারণ ভেবে অবহেলা করেন বেশিরভাগ মানুষই। সাধারণত ঘন ঘন জ্বর, ওজন কমে যাওয়া ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। তবে জরায়ুমুখ ক্যানসারের ক্ষেত্রে আরও এক লক্ষণ প্রকাশ পেলেও নারীরা তা স্বাভাবিক বলেই অবহেলা করেন। তেমনই অচেনা একটি উপসর্গ হলো সাদা স্রাবে দুর্গন্ধ। কমবেশি সব নারীরই সাদা স্রাব বের হয়। যৌনাঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসা এই তরল পদার্থও কিন্তু নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা সমস্যার জানান দেয়।
সাদা স্রাবের রং ও এর গন্ধ নানা সমস্যা সম্পর্কে জানায়। ঠিক তেমনই জরায়ুমুখ ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাদা স্রাব বের হলে তা দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে তলপেটে বেশ ব্যথা হয়। জরুয়ুমুখে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয় সাদা স্রাবের দুর্গন্ধ। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে এই তথ্য। অনেক নারীই নিয়মিত সাদা স্রাবের সমস্যায় ভোগেন। যদিও তা স্বাভাবিক নয়। এমন ক্ষেত্রে স্রাবের রং ও গন্ধ খেয়াল করুন। স্রাব থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সাবধান হওয়া জরুরি। কারণ স্রাব সাধারণত দুর্গন্ধযুক্ত হয় না। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত ও তলপেটে তীব্র ব্যথা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে অজান্তেই শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে ক্যানসার।
জরায়ুমুখ ক্যানসারে আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে- >> সহবাসের সময় ব্যথা >> যৌনাঙ্গে ব্যথা বা চাপ অনুভূতি >> যৌনাঙ্গ, তলপেটে, পিঠে বা পায়ে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি >> প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা রক্ত পড়া >> মলত্যাগের সময় ব্যথা বা রক্ত পড়া >> মূত্রাশয় বা মলদ্বার থেকে রক্তপাত >> পেটে তরল জমা হওয়া (যাকে অ্যাসাইটস বলা হয়) বা পায়ে (লিম্ফেডেমা বলা হয়) >> ওজন কমে যাওয়া >> ক্ষুধামন্দা >> শ্বাস নিতে অসুবিধাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূত্র: ক্যানসার.সিএ