বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাসচাপায় অটোরিকশাচালকসহ অন্তত পাঁজ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে পৌরসভা অভ্যন্তরে ফায়ার সার্ভিস সম্মুখে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা বাসটি অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক মহিলা ও এক যুবক এক শিশুকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। নিহতদের মধ্যে নারী ব্যতিত তিনজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমির চৌধুরী(৬০), পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিব(২৫) এবং অটোরিকশচালক সোহাগ(২৪)। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি শহরের অভ্যন্তর থেকে লক্ষীপাশা দাদুর হাট লেবুখালির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বিপরিত দিক পটুয়াখালী থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে আসা বিআরটিসির একটি বেপরোয়া গতির বাসা অটোরিকশাটিকে সামনের দিক থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারী এবং চালকসহ চারজন নিহত হন। এবং আরও এক এক অজ্ঞাতনামা মহিলা ও এক শিশু সহ যুবক যুবক ফয়সালকে গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। বরিশালে পাঠানো অজ্ঞাতনাম মহিলা ও তার শিশুকে প্রথমে পাঠানোর পরপরই মহিলার মৃত্যু হয়। ও আহত শিশুটিকে শিশু সার্জারী ওয়ার্ডে অজ্ঞাতনা হিসেবে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরেই আরো এক ফয়সাল নামের যুবককে বরিশালে পাঠানো হয়। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, দুর্ঘটনার পর বাসটি ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বাসটিকে আটক করে এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি গুরুতর আহত এক যুবক সহ এক মহিলা এবং শিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।