ঢাকার আশুলিয়ায় ভূমিদস্যু ও জাল জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার মোসলেম পলান গংদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন সরকারের নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার সরকার জানান, আশুলিয়া থানাধীন দিয়াখালী মৌজাস্থিত গুমাইল স্কুলের পাসে যার সিএস ২৫৫ এসএ ৩৯৫ খতিয়ানের এসএ ৪৪৭ দাগ, আরএস ৫৭৮ খতিয়ানের ২৩৪৩, ২৩৪৪, ২৩৫১, ২৩৫২, ২৩৫৫ নং দাগের সম্পত্তি মালিক দারোগালীর কাছ থেকে ৩ একর জমি ক্রয় করে একমি গ্রুপের মালিকগণ। তাদের এ জমি স্থানীয় ভূমিদস্যু মোসলেম উদ্দিন পলান ও সওকত আকবরসহ ভূমিদস্যুরা ১৯৩৫ সালের ২৯৭১ নং দলিল মূলে মালিক দাবি করে তফশিলভোক্ত জমির উপর আশুলিয়া ভিলেজ নামক একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তিনি ওই দলিলটি জাল প্রমাণের জন্য আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় ২৯৭১ নম্বর দলিলটি জাল বলে পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। দলিল জাল করার অপরাধে বিজ্ঞ আদালত মোসলেম উদ্দিন পলানসহ ১৪জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। জালিয়াত চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ ব্যাপারে গ্রেফতার হওয়া মোসলেম উদ্দিনের বড় ভাই লেহাজ উদ্দিন পলান জানান, তার ছোট ভাই সফিজ উদ্দিন পলান ও হাবুন পলান এবং চাচাতো ভাই ছমির উদ্দিন পলানের ছেলে মোসলেম পলান, ইয়াজ উদ্দিন পলান, ওসমান পলান, হেরাজ পলান ও তাদের ভাতিজা বিল্লাল পলান ও সোহেল পলান গংরা জমি জাল-জালিয়াতি করে নিজের বলে দাবী করেন। তিনটা দলিলে মোট ১৪ একর জমি জাল জালিয়াতি করে দখলে নিয়ে আশুলিয়া ভিলেজ নাম দিয়ে বিক্রি করা শুরু করে। পরে মামলায় পিবিআই তদন্তে জাল জালিয়াতির বিষয়টি বেড়িয়ে আসে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় লেহাজ উদ্দিন পলান, শহীদ পলান, মুক্তার আলী, সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।