শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন কমিশন তাদের সেই দায়িত্বটাই পালন করবে। নির্বাচনকালীন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যা দরকার তা সরকার দিবে।
গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত অষ্টম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার সবগুলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে পৃথক, স্বাধীন করা, সবকিছুই আওয়ামী লীগ করেছে। দীপু মনি বলেন, শেখা হবে আনন্দময়। যদি কোনো বিষয় আনন্দ নিয়ে শেখা যায়, তাহলে তার চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। আনন্দের সঙ্গে শিখলে নতুন দক্ষতা গড়ে উঠবে। শিক্ষকের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু করে তোলা। শিক্ষার্থীদের ভেতরে জ্ঞানের পিপাসা জাগ্রত করে দিতে হবে। যদি এমনটা করা যায়, তাহলে শিক্ষার্থী নিজে নিজেই শিখতে আগ্রহবোধ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা হয়ে থাকে। আমাদের চারপাশে যা ঘটছে, তা বুঝতে হলে গণিত বুঝতে হবে। এই অলিম্পিয়াডগুলো গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা তৈরি করে। ‘গণিতের মাঝে বিজ্ঞানের বাস, গণিতে করি মেধার বিকাশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব (জেইউএসসি) আয়োজিত অষ্টম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড-২০২২-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের আজ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সাতটি ক্যাটাগরি ছিল। এতে দেশের ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রথম পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে ৩৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত। যেখানে ভালো লেখাপড়া হয়, আবার গবেষণা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব এবং সাহসিকতায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। মেট্রোরেল হয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন আমরাও পারি। ২০৪১ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। উপাচার্য বলেন, দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। জাবিতেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ১৪০০ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী, যা কোনো সরকার দিতে পারেনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন প্রমুখ।