রৌমারীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জামালপুর ধানুয়া কামালপুর কদমতলী রৌমারী দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা ৩৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ টি প্যাকেজে (সওজ) সড়ক উন্নয়নের নির্মান কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ ল্যান ও বিভিন্ন বাজার স্থান গুলিতে মধ্যস্থ্য স্থান থেকে দু’ পাশে ৮শত মিটার দৈর্ঘ ও ৪৮ মিটার প্রস্থ্য করে সড়ক নির্মানের উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। রাস্তাটি মহাসড়কের ন্যায় প্রসস্ত বৃদ্ধি করণ, গাইড ওয়াল, ব্রীজ কালভার্ট, স্লুইজগেট নির্মাণ ও কার্পেটিং এর কাজ রয়েছে। এর পাশাপাশি সড়কের শোভাবর্ধনের কাজও করা হবে। বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। এতে রৌমারী টু-ঢাকা যাতায়াতের রাস্তাটিতে খানাখন্দে ও জলাবদ্ধতায় জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ চায় এলাকাবাসী। সড়ক নির্মান উন্নয়ন কাজে রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর শেষ মাথা হতে দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মানে ১শত ৫০ কোটি টাকা টেন্ডার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম ও রানা বির্ল্ডাস কাজ পান। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষের ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক সওজের সড়কটি। যে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শতাধিক ঢাকা গামী দূরপাল্লার পরিবহন ও ছোট খাটো অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণবঙ্গের ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ ৫/৬টি বিভাগের প্রায় ৩০টি জেলার সাথে যাতায়াতে যোগাযোগ এবং ভারতীয় আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের সাথে ব্যবসা বানিজ্যে উন্নতি হবে। সংশ্লিষ্টরা যথা সময়ে এসব কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ঠিকাদারের গাফিলাতিতে সড়ক উন্নয়নের এসব কাজ বন্ধ রাখায়, খানাখন্দে জলাবদ্ধতায় যাতায়াতে ও সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষ চরম জনদুর্ভোগে পড়েছে। সড়কে চলাচলরত ভারতীয় সীমান্ত শুল্ক স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই মালবাহী ট্রাক ড্রাইভার আলতাফ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এতে আমরা খুশি। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা তাতে গাড়ি ক্রসিং করাতো দুরে থাক চলাচলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এভাবে আর কিছুদিন চলাচল করলে গাড়ি খুজে পাওয়া যাবে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম ও রানা বির্ল্ডাসকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি। সাব ঠিকাদার হারুন অর রশিদ বলেন, শুকনা মৌসুমে সড়কটির উন্নয়ন কাজ দ্রুত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ায় কাজটি বন্ধ হয়েছে। তবে বর্তমানে বন্যা, বর্ষা ও বৃষ্টি পাতের জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, রাজিবপুরের শেষ মাথা হতে রৌমারী দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত দু’ ল্যানের রাস্তার উন্নয়ন কাজে রাস্তাটি মহাসড়কের ন্যায় প্রসস্ত বৃদ্ধি করণ, গাইড ওয়াল, ব্রীজ কালভার্ট, স্লুইজগেট নির্মাণ ও কার্পেটিং এর কাজ রয়েছে। এর পাশাপাশি সড়কের শোভাবর্ধনের কাজও করা হবে। রৌমারী রাজিবপুর এলাকার জনসাধারণ ও মন্ত্রীমহোদয় কাজটি করার বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছে। আমিও দ্রুত কাজ ধরার জন্য ঠিকাদারদেরকে মৌখিক ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে এবং নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এলাকার জনগনের যাতায়াতে দ্রুত রাস্তার কাজ করে দুর্ভোগ লাঘব করা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।