বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

ডিজিটাল ব্যবসার জন্য প্রয়োজন ডিবিআইডি নিবন্ধন

ড. মো. মফিজুর রহমান
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির কারণে সারা পৃথিবীতে ডিজিটাল ব্যবসা বা অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের মাধ্যমে জমজমাট ব্যবসা শুরু হয়েছে। অ্যামাজন ডটকম থেকে শুরু করে অনেক অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফরম তৈরি হয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে কোভিড অতিমারির কারণে লকডাউন, শাটডাউনে মানুষ ও পণ্যের ফিজিক্যাল মুভমেন্ট বন্ধ বা সীমিত থাকায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। অনেক ছোটখাটো এসএমই উদ্যোক্তা কোভিডের কারণে নিজের ব্যবসা হারালেও অনেকেই আবার অনলাইন ব্যবসায় যুক্ত হয়ে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত ছিলেন এবং আছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় আড়াইহাজার ওয়েবসাইট এবং দুই লক্ষাধিক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা হচ্ছে। এর মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা অনেক। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসাকে এফ-কমার্স নামে অভিহিত করা হচ্ছে। একদিকে যেমন ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের ব্যাপক প্রসার ঘটছে, আবার একই সঙ্গে কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী বা দুর্বৃত্ত প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেট প্লেসের সুযোগ নিয়ে ভোক্তাদের ঠকিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল এবং এখনো আছে।
লক্ষ করলেই দেখা যাবে, দেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে নানাবিধ অভিযোগ পত্রপত্রিকায় আসে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। অভিযোগগুলো মোটামুটি একই ধরনের, আর তা হলো অর্ডার নিয়ে মূল্য পরিশোধের পরও পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া অথবা বিলম্বে খারাপ মানের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া, পণ্য না পাঠালেও টাকা ফেরত না দেওয়া প্রভৃতি। চমক জাগানো অফার দিয়ে গ্রাহক আকৃষ্ট করে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ইভ্যালি, ধামাকা শপিং, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, বুমবুম, আদিয়ান মার্ট, নিউ ডটকম, কিউকম, সিরাজগঞ্জ শপ, দালাল প্লাস প্রভৃতি বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের নামে অনেকটা এমএলএম ব্যবসার মতো গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার কথা পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার কাছে এসবের তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এর কারণ হলো, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮-এ শাস্তির কোনো ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া অপরাধী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনা সময়সাপেক্ষ এবং অনেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়। কয়েকটি ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে এবং কিছু অপরাধী জেলহাজতে আছেন। এক্ষেত্রে একতরফাভাবে শুধু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের দোষ দেওয়া যায় না, সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গ্রাহকদেরও দায় আছে, কেননা কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যখন ৪০-৫০ শতাংশ কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অফার দেয়, তখনই বুঝতে হবে ডালমে কুচ কালো হ্যায়। অর্থাৎ, এসব অফারের পেছনের উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে ধোঁকা দেওয়া এবং অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার মহাপরিকল্পনা। এসব বিজ্ঞাপনে হুমড়ি খেয়ে না পড়ে দেখে-শুনে অর্ডার দিলে গ্রাহককে এরকমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে এবং তাদের কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব ই-কমার্স ব্যবসাকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিলম্বে হলেও এটি একটি ভালো উদ্যোগ এবং এ নির্দেশিকার আলোকে নিবন্ধনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ (২০২০ সালে সংশোধিত)-এর অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬-এর আলোকে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন নির্দেশিকা প্রণয়ন করে সেটি ২৯ জুন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ডিবিআইডি নিবন্ধন নির্দেশিকা শুধু ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ওই নির্দেশিকার সংজ্ঞায় ডিজিটাল কমার্স বলতে ইলেকট্রনিক/ডিজিটাল বাণিজ্য, যা ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সব ধরনের পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় সম্পাদনকে বোঝানো হয়েছে। এ নির্দেশিকায় ডিবিআইডি অর্থ ডিজিটাল বিজনেস আইডি, যা ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১-এর ১২.১৩-এ ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ইউবিআইডি) হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে, এ ডিবিআইডি অর্থাৎ পরিচিতি নম্বরটি সিস্টেম প্রদত্ত (অটো-জেনারেটেড) অনন্য বা ইউনিক হবে। মোদ্দা কথা, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা অনুসারে যে কোনো ধরনের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ডিবিআইডি নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের কাজটি করবে যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি)।
ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন নির্দেশিকা প্রণয়ন করার লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ (২০২০ সালে সংশোধিত) এবং জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য সব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনপূর্বক ডিজিটাল কমার্স সেক্টরে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা। ডিবিআইডি নিবন্ধনের উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে-ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাকল্পে নিবন্ধন করা; দেশের ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রকারভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করা এবং দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা আইনানুগ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ওই নির্দেশিকার সঙ্গে সংযুক্ত নির্দিষ্ট ‘ক’ ফর্ম অনলাইনে পূরণ করে ডিবিআইডি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফর্মে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের (যদি থাকে) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ট্রেড লাইসেন্স (যদি থাকে), কোম্পানির রেজিস্ট্রেশেন নম্বর (যদি থাকে), ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে), আয়কর নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে), ভাড়া অফিসের ক্ষেত্রে বাড়ি মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং ভাড়া চুক্তির কপি দাখিল করতে হবে। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১-এর ৩.১.৩ এবং ৩.১.৪-এ যেসব ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে (ডিজিটাল মাধ্যমে এমএলএম বা নেটওয়ার্কিং ব্যবসা, নেশাসামগ্রী, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ ব্যবসা, জুয়া বা অনলাইন বেটিং বা অনলাইন গ্যাম্বলিং পরিচালনা বা অংশগ্রহণ), সেসব ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ডিবিআইডির জন্য বিবেচিত হবে না।
আবেদনপ্রাপ্তির পর আরজেএসসি আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম যাচাই করবে, যাতে একই নামে একাধিক ডিবিআইডি প্রদান করা না হয় এবং একই প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ডিবিআইডি প্রদান করা না হয়। আরজেএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা সুপারিশকারী সংস্থা অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনকারী সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য যাচাই করবেন। এর মধ্যে আছে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় পেজ আছে কি না, সক্রিয় ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলায় লিপিবদ্ধ ক্রয়-বিক্রয় এবং অন্যান্য শর্তাবলি সংযুক্ত আছে কি না, ডেলিভারির সময়সীমা, মূল্যফেরত, পণ্যফেরত, বিক্রয়োত্তর সেবা প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না। যাচাই-বাছাইয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে আরজেএসসি ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ডিবিআইডি নম্বরসংবলিত একটি সনদ প্রদান করবেন। আর যদি তথ্য সঠিক না হয় বা যুক্তিযুক্ত মনে না হয়, তবে তার আবেদন নামঞ্জুর করে তা আবেদনকারীকে অবহিত করা হবে। ডিবিআইডিপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজে বাধ্যতামূলকভাবে ডিবিআইডি প্রদর্শন করবেন। কোনো কারণে ডিবিআইডি বাতিল বা স্থগিত করা হলে সেটি আর প্রদর্শন করা যাবে না। আবেদনকারী প্রয়োজনে তথ্য সংশোধনের আবেদন করলে যাচাই-বাছাইক্রমে কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করতে পারবে। তথ্য পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও আবেদন না করার কারণে কর্তৃপক্ষ নিজ থেকে কোনো সংশোধন করবে না, তবে এ কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর জন্য দায়ী থাকবে।
ডিবিআইডির আবেদনে কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হলে এবং ডিজিটাল কমার্স পলিসি, নির্দেশিকা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮ বা দেশে প্রচলিত কোনো আইনের পরিপন্থি কোনো কাজ করা হলে কর্তৃপক্ষ ডিবিআইডি বাতিল বা স্থগিত করতে পারবে বা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারবে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ২৯ জুনের আগে থেকেই অনলাইনে ব্যবসা করে আসছে, তাদের ২৯ জুন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হবে। নতুন করে অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে আগে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হবে। ডিবিআইডি ব্যতীত ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ব্যবসা করা যাবে না। ডিবিআইডিপ্রাপ্ত সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ওয়েব লিংক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়েব পেজের হালনাগাদ তালিকা ডিবিআইডি ওয়েবসাইট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আরজেএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির দায়িত্ব পালন করবে, তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ও বিএফআইইউ তাদের জন্য প্রযোজ্য অংশের তদারকি করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ডিবিআইডি নিবন্ধন নির্দেশিকায় সংশোধন, পরিমার্জন বা পরিবর্তন করতে পারবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, এটি খুব কঠিন নয়। যদিও প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠার একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং যথেষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তবুও যেসব তথ্য প্রদান করতে হবে, তা একজন ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিকভাবেই থাকতে হয়। সুতরাং যারা এখনই অনলাইনে ব্যবসা করছে বা ভবিষ্যতে ই-কমার্স ব্যবসা করতে চায়, তাদের এখনই নিবন্ধন করা প্রয়োজন। সুতরাং এখন থেকে আর কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেন নিবন্ধন ব্যতিরেকে ব্যবসা করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হলে এসএমই ফাউন্ডেশন এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের ওই পদক্ষেপের কারণে কীভাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধনের আওতায় আসবে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে অনলাইন ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী এক বছর বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যাবে এবং এরপর নিবন্ধনের জন্য ফি ধার্য করা হতে পারে। অতএব এসএমই ফাউন্ডেশন আশা করছে, ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সবাই যেন দ্রুত ডিবিআইডি নিবন্ধনের কাজটি সম্পন্ন করে নেন। সবাই নিবন্ধনের আওতায় এলে ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে প্রতারণা ও দুর্নীতির সুযোগ বন্ধ হবে। ( সংকলিত) লেখক: ড. মো. মফিজুর রহমান : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএমই ফাউন্ডেশন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com