গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপড়হাটিতে ভোগদখলীয় জমিতে গড়ে তোলা পোল্ট্রি খামার ভাংচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে খামার মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম। গতকাল বিকালে তার নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, দীর্ঘ দিন পূর্বে গড়ে তোলা তার মুরগীর খামারটির উপার্জন দিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। এই খামারটির উপার্জন দিয়ে তার পরিবার পরিজনের আহার জোটে। কিন্তু তার প্রতিবেশী জনৈক জহুরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বরাবরে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। তবে এসম্পর্কে আমিনুল ইসলাম নিজে অবগত ছিলেন না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ আগস্ট সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পূর্ব নোটিশ না করেই উক্ত খামারে এসে তার লোকজন দিয়ে খামারের আসবারপত্র ও মালামাল ভাংচুর করেন। এতে করে উক্ত খামারের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এদিকে খামার ভাংচুরের কারনে মুরগীগুলে এদিক ওদিক ছুটে চলে যায়। আর তার খামারে থাকা কিছু মুরগী কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। আমিনুল আরো বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এই খামারটি নষ্ট করে ফেলার কারনে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বর্তমানে আমি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই উক্ত ঘটনার ক্ষতিপূরণের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আমিনুলের পিতা মোঃ জবেদ আলী, বড় ভাই মোঃ পলাশ মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।