সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে পাটের আবাদ

বাসস:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মত সার-বীজ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে অধিক পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পাটের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এবছার জেলায় ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষক ৮০ শতাংশ পাট জমি থেকে কেটে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাসূল বাসস’কে বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ও সময়মতো সার-বীজ পাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় জেলার কৃষকরা অনেক বেশী জমিতে পাটের আবাদ করেছে। এ ছাড়াও পাটের বাজারমূল্য তুলনামুলক বেশী থাকাটাও অধিক পরিমাণ পাট চাষের একটি কারণ। এবছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৬২৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৭৯০, নড়িয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৬৫০, জাজিরা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৪০, ভেদরগঞ্জে উপজেলায় ৫ হাজার ১৩০, ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টরে দেশী, তোষা, মেসতা ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে।
জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাসার গ্রামের পাট চাষি মো: মোশাররফ মোল্লা জানান, এ বছর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় আমরা পাটের আবাদ বেশি করেছি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাট প্রকার ভেদে ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এবছর পাট আবাদ করে আমরা বেশ লাভবান হয়েছি। আশা করছি মৌসুমের শেষ দিকে আমরা আরও বেশি দাম পাবো। জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন বলেন, পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার উন্নতমানের পাটের বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ করে মানসম্মত পাট উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরমর্শ ও সার্বিক সহায়তায় অধিক পরিমান আবাদ করে ফলনও পেয়েছে বেশ ভালো। পাটের বাজরমূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com