দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর বারবার হামলা ও ১০০টি আম্রপালি আম গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অভিযোগ দিয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার। নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আলদাতপুর গ্রামের মৃত বীরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে বিদ্যুৎ চন্দ্র সরকার অভিযোগ করেন। সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-ভোগদখলীয় ৫১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক নিজেদের বলে দাবী করছেন পাশ্ববর্তী পার্বতীপুর থানার রসুলপুর গ্রামের মৃত চটকু মিয়ার ছেলে ফয়জার রহমান।এ বিষয়ে দিনাজপুর আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ০৮/০৮/২০২২ তারিখে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে লাগানো আম্রপালি আম বাগানের ১০০টি গাছ কেটে ফেলেন, এতে প্রায় ৩,০০,০০০/-(তিন লাখ) টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়াও তার পরিবারে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন ফয়জারের ছেলে বাচ্চু মিয়া, সুবেল, ফিরোজ, দুলাল ও খায়রুল ইসলাম। রাতে বাড়িতে ইট ও মাটি দিয়ে ঢিল ছুড়ছে এবং বাড়ির গেটে আঘাত করে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গ গত ২৪/০৭/২০২২ তারিখে উপরিউক্ত ব্যক্তিবর্গ বিদ্যুৎ সরকারের উপর হামলা করলে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় জামিন নিয়ে এসে ভুক্তভোগী পরিবারের উপর নানাবিধ নির্যাতন করছেন ভূমিদস্যুরা। বিদ্যুৎ চন্দ্র সরকারের মা জানান-ফয়জারের পরিবারের পক্ষ থেকে বরাবরই হুমকি দিচ্ছে। সচিব ছেলের লাশ খুঁজে পেয়েছিস কিন্তু বাকী ছেলের লাশ খুঁজে পাবি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার কামনা করেন তিনি। বিদ্যুৎ চন্দ্রের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জানান-সন্তান যেমন করে বড় করে তুলেন ঠিক তেমনি করে যতœ করে বড় করে তোলা আমের গাছ কেটে ফেলায় হতাশ তিনি। আম বাগানের আম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের পরিবার। বাড়িতে পুরুষরা না থাকলে নানাবিধ নির্যাতন করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করতে হচ্ছে স্বামীর বাড়িতে। এ বিষয়ে আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মাসিক অপরাধ তদন্তের মিটিং দিনাজপুরে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।দায়িত্বে থাকা এসআই আহনাফ জানায়-সরেজমিনে তদন্ত করেছেন ও আলামত স্বরুপ গাছ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।