বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা সম্পর্কে সরকার নির্দিষ্ট তথ্য চায়নি: সুইস রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২

বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি।
গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে তিনি এসব কথা বলেন। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ডিকাব টকে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড। সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা হিসেবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘তথ্য পেতে হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে আমরা সরকারকে জানিয়েছি, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি।’
সুইস ব্যাংক সে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ১০ শতাংশের মতো অবদান রাখে উল্লেখ করে নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার নিরাপদ স্থান নয়। বৈশ্বিক আর্থিক খাতে সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করেছে, নতুন ও উন্নত মানদ- তৈরি করছে এবং তারা অবৈধ অর্থ রাখার জন্য প্রলুব্ধ করে।’ এটি ঠিক নয় বলে তিনি জানান। ‘বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে ওই তথ্য প্রতিবছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে এবং ওই অর্থ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে কি না, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়’ বলেন সুইস রাষ্ট্রদূত।
দুই দেশের মধ্যে গত এক দশকে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে এর পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার। সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক সুইস কোম্পানির উপস্থিতি রয়েছে এবং আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য সুইজারল্যান্ড কাজ করছে এবং তাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই। এ জন্য রাখাইনে যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজন, সেটি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা সেটি সবাই মিলে করার চেষ্টা করছি।’ ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের স ালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com