পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমি,মাছের ঘের সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে উপজেলার বৈঠাকাটা, মনোহরপুর, দেউলবাড়ি, কলারদোয়ানিয়া, গাওখালী, পদ্মডুবি, সোনাপুর, হকেরবাজার, তুরুকখালী, সাচিয়া মালীখালি সহ অন্তত ২০টি নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ১৫ আগষ্ট (সোমবার)সরোজমিন ঘুরে বিভিন্ন এলাকার জন দুর্ভোগের কথা জানতে গেলে দেউলবাড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওর্য়াডের মেম্বর সাইফুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘বর্ষা এলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষায় জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। পানির কারণে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না।‘বর্ষায় গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার অবস্থাও থাকে না। ঘরের চুলা পর্যন্ত ডুবে যায়। রান্না, খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যায়। সরকার যদি সহযোগিতা করতো তাহলে একটু দুর্ভোগ কমতো। সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন বিদ্যালয়টি উপজেলার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত। আশানুরুপ রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন না হওয়াতে বিদ্যালয়টি অধিকাংশ সময় জোয়ার ও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকে। শিক্ষার্থীদের নৌকা ছাড়া বিদ্যালয়ে আসার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, বন্যায় উপজেলার বির্স্তীন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত তবে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থদের কোন সরকারী সহযোগীতা করা হয়নি।