মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

তদন্ত প্রতিবেদন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় গেটম্যান ও মাইক্রোচালক দায়ী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বড়তকিয়া এলাকার লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ধাক্কার ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফার দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান সাদ্দাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলীকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার জন্য দুজনকে দায়ী করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনসার আলী। তিনি বলেন, কাদের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গেটম্যান সাদ্দাম বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আহত হন সাতজন। এই সাতজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। অন্য আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহত ব্যক্তিরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজারের পূর্ব খন্দকিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত ১৩ জনের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক ছাড়া অন্যরা স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তাঁরা মাইক্রোবাসে করে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেনের যাত্রীদের ভাষ্য, ঘটনাস্থলে গেটম্যান সাদ্দাম না থাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না। পরে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করে রেলওয়ে। একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরমান হোসেনকে। অপর কমিটির প্রধান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী। আনসার আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও অপর কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে জানান, তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য গেটম্যান ও গাড়িচালককে দায়ী করেছে। গেটম্যান সাদ্দাম দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় আনন্দ ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি কেটে একে একে লাশ উদ্ধার করে রাখা হয় রেললাইনের পাশে। গতকাল বেলা দুইটার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এই ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দামকে আগেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে জানিয়ে মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, এখন তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আনসার আলী বলেন, পরবর্তীকালে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য কিছু সুপারিশ প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে। তবে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com