মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাতে সাংবাদিক বাছিত খানের চাচা আব্দুল খালিক বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে কমলগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আব্দুল বাছিত খানকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা এ মামলায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে কমলগঞ্জে আসার পথে মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ রোডের উবাহাটা এলাকায় হেমলেট পরা ৩ মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার রাতে তার জ্ঞান ফেরে। সোমবার দুপুরে তিনি কথা বলেন। হাসপাতালের বেডে সাদা কাপড়ের ব্যান্ডেজে মোড়ানো আব্দুল বাছিত খানের শরীর তাঁর ঘাড়, হাত, কোমর, উরু এবং পায়ের গোড়ালিতে অগণিত আঘাত করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দায়ের কুপে সাংবাদিক বাছিতের ডান হাত দেহ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন কাঁদে ও পায়েও গুরুতর আঘাত রয়েছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাত ও রোববার দিনে দুই দফা অস্ত্রোপচারের পর সাংবাদিক বাছিতের অবস্থা আগের চেয়ে এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানান, সাংবাদিক বাছিতের প্রথম অস্ত্রোপচার সফল হলেও এখনো অনেক অস্ত্রোপচার রয়ে গেছে। কাটেনি শঙ্কা। এদিকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আখলিছ মিয়া ও মকবুল মিয়া নামে ২ জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। সোমবার রাতে সাংবাদিক বাছিতের চাচা আব্দুল খালিক বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যার চেষ্টায় হামলা অভিযোগ করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পূর্বে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণকৃত এজহারভুক্ত ১নং ও ২নং আসাম আকলিছ মিয়া(৪১) ও মকবুল মিয়া(৩৮)কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মহাদেব বাচাড় বলেন, সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানকে হত্যা চেষ্টার মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি জোর তৎপরতা চলছে।