বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। বুধবার রাতে সাগরে জাল ফেলতেই মূল্যবান ওই ভোল মাছটি ধরা পড়ে। বরগুনা জেলার পাথরঘাটার মাছ ব্যবসায়ী মাসুমের এফবি আলাউদ্দিন নামে ট্রলারে জেলেদের জালে ওই মাছটি ধরা পড়ে। শুক্রবার মাছটি বাগেরহাট কেবি বাজার পাইকারি মাছের আড়তে বিক্রির জন্য তোলা হয়। নিলামে ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ১৯ কেজি ওজনের ওই ভোল মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনে নেন এক মাছ ব্যবসায়ী। মাছের প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে চার হাজার ৩৫৮ টাকা। চিকিৎসকরা বলেছেন, ভোল মাছের ফুসফুস চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে লাগে। এ কারণে ভোল মাছ অনেক মূল্যবান।
এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের মাঝি জাফর আলী সাংবাদিকদের জানান, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছিল না। ফিরে আসার আগে বুধবার রাতে তারা সাগরে জাল ফেলে। জাল তুলতেই ভোল মাছটি উঠে আসে। অনেক মূল্যবান ভোল মাছ ধরা পড়ায় তারা অনেক খুশি। পরে শুক্রবার বাগেরহাট কেবি বাজারে নিলামে মাছটি বিক্রি করা হয়। বাগেরহাট কেবি বাজার মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, ভোল মাছটি বিক্রির জন্য তার আড়তে তোলা হয়। নারী প্রজাতির ওই মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। কেবি বাজারের আলামিন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি ক্রয় করেছেন। মাছটি পুরুষ প্রজাতির হলে প্রায় দুই লাখ টাকা দামে বিক্রি হতো বলেও তিনি জানান। বাগেরহাট কেবি বাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী শেখ জানান, ভোল মাছের পেটের ভিতরের অংশ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়। এজন্য ওই মাছের অনেক দাম। এখান থেকে ভোল মাছ কেনার পর ক্রেতারা উচ্চ মূল্যে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে চালান দেয়। বছরে মাত্র দুই-একবার ভোল মাছ আড়তে আসে বলে তিনি জানান।
চিকিৎসকরা বলছেন, সামুদ্রিক ভোল মাছের ফুসফুস দিয়ে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত সুতাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন কাজ হয়। ওই মাছ ক্রয় করার পর নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। এ কারণে ভোল মাছের মূল্য বেশি। সূত্র : বাসস