কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের অনুকূলে সাহেবের চর গ্রামের পশ্চিম দিগন্তে ব্রম্মপুত্র পাড়ের সাহেবেরচর হাজীবাড়ী প্রান্তে ছোট্ট একটা ব্রীজের কারনে কঠিন ভুগান্তিতে পড়েছে হাজারো কৃষক। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ২৫(আগস্ট) জানা যায়,সাহেবেরচর গ্রাম সুজলা সুফলা অনিন্দ্য সুন্দরে আবৃত থাকলেও বিচ্ছিন্ন কিছু সমস্যা বৃহত্তর আকারে রুপ নিয়েছে। গ্রামের পশ্চিম পাশে ব্রম্মপুত্র নদ সংলগ্ন প্রায় ৫০০ শত একর আবাদি জমি যাতে চাষাবাদ কারী সাহেবের চর গ্রামের কৃষককূল। কিন্তু ব্রম্মপুত্রের একটা শাখা নদী কিম্বা কাল প্রাচীনতম। যেটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ব্রম্মপুত্র থেকে বের হয়ে গতিপথ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের জিনারী ইউনিয়নের চরহাজীপুর,চরকাটিহারী। সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের পাশ দিয়ে আবার ব্রম্মপুত্রে সংযোগ হয়েছে।বছরের পর বছর খালটি মৃত অবস্থায় থাকলেও পুনঃ খননের কারণে প্রায় সারা বছর জলাবস্তায় থাকে। এতে করে সাহেবের চর গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৫০০ একর জমির মাঠে যাওয়া আসায় গভীর বিপাকের সৃষ্টি হয়েছে।গরু ছাগল নিয়ে, মাঠে যেতে বারবার জলে ভিজে বহু কষ্ট করতে হচ্ছে। ফসল নিয়ে ঘরে ফিরতে পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।পারাপারের কষ্টের কারনে জমিতে কাজ করার জন্য কাজের লোক খুঁজে পাওয়া যায় না এমনটি জানান এলাকাবাসী। জামাল মিয়া, জামরুল ইসলাম,হক মিয়া,আব্দুস সাত্তারসহ অনেকেই জানান,ব্রম্মপুত্র নদের বামতীরের প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ করার সময় এক নং প্যাকেজের কাজের সুবিধার্থে কতৃপক্ষ ব্লক দিয়ে একটা অস্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করেছিল,তখন বাঁধের কাজ চলাকালীন সময়টা পারাপারে একটু সুবিধা ছিল।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ শেষ তারা তাদের ব্লক উঠিয়ে নিয়েছে। স্থানীয় আফাজ উদ্দিন ,নুরুল আমিন,খাইরুল ইসলাম জসিমউদ্দিন দোকানদারসহ এলাকাবাসী ছোট্ট একটা ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার আকুল আবেদন জানান সংশ্লিষ্টদের। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাজার হাজার পথচারীর মুখ্যম মেঠোপথ ব্রম্মপুত্র পাড় ঘেঁষে । ময়মনসিংহের গফরগাঁও বর্তমানে পাগলা থানার হালিমাবাদ বাজার থেকে খেয়া পার হয়ে, নদের পাড় হয়ে হেঁটে আসে কয়েক অঞ্চলের মানুষ। এখন খালে সারা বছর পানি থাকার কারনে হাজার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।তাই দ্রুত একটা ছোট ব্রীজ প্রয়োজন বলে জানান তারা।