সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

পানি নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে : ডা. শফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কুশিয়ারা ও বরাক নদীর পানি নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। সম্প্রতি ভারতে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে কুশিয়ারা ও এর উৎপত্তি, বরাক নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শনিবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে চলা কুশিয়ারা ও এর উৎপত্তি, বরাক নদীর পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং আগামী মাসেই এ ব্যাপারে চুক্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি ইতোপূর্বে ভারতের সাথে তিস্তা, ফারাক্কা ও গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ে যেসব চুক্তি করা হয়েছিল, তার অধিকাংশ আজো বাস্তবায়িত হয়নি। তিস্তা চুক্তি এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ইতোমধ্যে একতরফাভাবে কোনোরূপ জনমত ছাড়াই ফেনী নদীর পানি ব্যবহারে ভারতকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন কুশিয়ারা ও বরাক নদীর পানি বন্টন নিয়ে ভারতের সাথে কী আলেচনা হচ্ছে তা দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার নয়।
তিনি বলেন, ‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বয়ে চলা অভিন্ন নদীগুলোর সুষ্ঠু পানি বন্টননীতি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে শুকনো মওসুমে ভারত পানি আটকিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করে এবং বর্ষা মওসুমে ভারত পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বন্যায় তলিয়ে দেয়। এতে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে অনুষ্ঠিত বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ নিতে হবে। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কোনো ধরনের সমঝোতা বা চুক্তি করার কোনো এখতিয়ার এ অবৈধ সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ দেয়নি। ইতোপূর্বে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের স্বার্থ অগ্রাহ্য করে ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং দেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। এখন আবার কুশিয়ারা ও বরাক নদীর পানি নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com