বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য অনৈতিক, অবৈধ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে কটুক্তি করছেন সরকার প্রধান। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি’র আহ্লাদের আর শেষ নেই।
এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তার ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডাক্তাররা বারবার বিদেশে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বললেও সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কর্ণপাত করছে না। কী দুর্ভাগ্য এই জাতির যে, দেশে একটি অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় বসে আছেন যার ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই। তিনি গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে ধরনের উক্তি করেছেন আমরা ভাবতেও পারি না। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক এই ধরনের উক্তি কেউ করতে পারে। এর একটাই কারণ- প্রতি মুহূর্তে তিনি খালেদা জিয়াকে হিংসা করেন তাকে সহ্য করতে পারেন না। গতকাল বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। জাতীয়তাবাদী যুবদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশে ন্যায় বিচার ভুলন্ঠিত হয়েছে। তারা দেশের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করে ফেলেছে। হত্যা-গুম-খুন করে দেশকে জিম্মি করে রেখেছে। তাই বিএনপি’র সামনে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই। আসুন নিজেদের সংগঠিত করে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করা। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করতে হবে। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।