সারাদেশে বিএনপি’র কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও গুলিতে তিনজন নিহত, দুই হাজারের বেশি আহত এবং দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও চার হাজার ৮১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে গত ২২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপি’র কর্মসূচিতে সরকার পুলিশ এবং নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা চালিয়ে নিহত, আহত, গ্রেফতার ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। সারাদেশে বিএনপি’র কর্মসূচিতে এই কয়েকদিনে পুলিশের হামলা ও গুলিতে নিহত তিনজন, আহত দুই হাজারের অধিক ও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও চার হাজার ৮১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ থেকে ২৫টি স্থানের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা দিয়ে সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিএনপির কর্মসূচি বন্ধ করেছে। সারাদেশে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে। সারা দেশে কর্তৃতত্ববাদী গণবিরোধী, ফ্যাসিষ্ট সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের এবং সাধারণ মানুষদের হত্যা, আহত, গ্রেফতারের যে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন, তা বন্ধের আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা হত্যাকারী এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো দলের সদস্য হিসেবে কাজ না করে দেশের সংবিধান রক্ষা এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার যদি এই অশুভ তৎপরতা বন্ধ না করে জনগণের যে ঐক্যের আন্দোলন শুরু হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে এই সকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে। এসময় সারা দেশে আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।