চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশন রিয়াল মাদ্রিদ ৩-০ গোলের জয় দিয়ে শুরু করেছে। ব্যবধান তাদের পক্ষে সহজ জয়ের কথা বললেও ঘাম ছুটিয়েছে সেল্টিক। মঙ্গলবার গ্লাসগোর সেল্টিক পার্কে স্বাগতিকদের অভিভূত পারফরম্যান্স রিয়ালকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল শুরুতে। সেল্টিক কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। তারই খেসারত দিতে হয়েছে হেরে। অন্যদিকে ভিনিসিউস জুনিয়র, লুকা মডরিচ ও এডেন হ্যাজার্ডের দ্বিতীয়ার্ধের গোলে জিতেছে রিয়াল।
মাদ্রিদ শুরুতেই ধাক্কা খায় তাদের প্রধান স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার ইনজুরিতে। ইউরোপ সেরা এই ফরাসি তারকা ৩০ মিনিট পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন হাঁটুতে অস্বস্তি নিয়ে। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন ইনজুরি ওতটা গুরুতর নয়।
প্রতিপক্ষ দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে শুধু ইনজুরিতে বেনজেমাকে হারিয়ে নয়, একের পর এক প্রেসিং আর কাউন্টার অ্যাটাক রিয়ালকে প্রথম ৪৫ মিনিট তটস্থ করে রেখেছিল।
এক মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। কিন্তু লেইল অ্যাবাডার শট এডার মিলিতাওয়ের পেছনে লেগে লক্ষ্যচ্যুত হয়। আবারও সুযোগ পান অ্যাবাডা, এবার সরাসরি বল তুলে দেন রিয়ার কিপার থিবো কোর্তোয়ার দিকে। সেল্টিক অধিনায়ক ক্যারাম ম্যাকগ্রেগরের শট লাগে পোস্টে।
রিয়ালেরও সুযোগ এসেছিল প্রথমার্ধে। বেনজেমার বদলি নামা হ্যাজার্ড ভুল করে গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বল মারেন, পরে ভিনিসিউসকে বল বানিয়ে দেন তিনি। যদিও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট জো হার্টের কারণে সেল্টিকের জালে জড়ায়নি।
বিরতির পর ফিরেই সেল্টিকের ডাইজেন মায়েডা পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করেন। কিছুক্ষণ পরই খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। ৫৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ফেডেরিকো ভালভার্দের নিচু ক্রস থেকে ভিনিসিউস ব্যাকপোস্ট দিয়ে জাল কাঁপান।
এরপর আরও একটি গোল আসে চার মিনিট পরই। মিডফিল্ড থেকে দৌড়ে হ্যাজার্ড বল দেন মডরিচকে, ক্রোয়েশিয়ান তারকা একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পরাস্ত করেন হার্টকে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৩ মিনিট আগে গোলদাতার খাতায় নাম লেখেন হ্যাজার্ড। দানি কারভাহালের কাটব্যাক থেকে রিয়ালের তৃতীয় গোল করেন বেলজিয়ান।
‘এফ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্ক ৪-১ গোলে হারিয়েছে আরবি লাইপজিগকে। ইউক্রেনিয়ান দলটি রিয়ালের সমান ৩ পয়েন্ট নিয়েও গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে।