টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকায় ভিনদেশী ড্রাগন ফলের চাষ বেড়েছে। শখের বসে ড্রাগন বাগান শুরু করলেও এখন বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভেষজগুন সমৃদ্ধ মিষ্টি ও সুস্বাদু ড্রাগন ফল। চাষীদের দাবী বর্তমানে উপজেলার ৩০০ একর জমিতে ড্রাগনের আবাদ হচ্ছে। আর এতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস ও ড্রাগন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ড্রাগন ফলের আদি নিবাস মেক্সিকো। বর্তমানে আমেরিকা, ভিয়েতনাম, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফল বেশ জনপ্রিয় খাবার হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশেও ব্যক্তি উদ্যোগে এ ফলের আবাদ শুরু হয়েছে। মিষ্টি ও হালকা টক জাতীয় স্বাদের নানা পুষ্টিগুণে ভরা এ ফল। ক্যকটাস জাতীয় ড্রাগন ফল গাছ খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হয়। ড্রাগনের ফুল সাদা লম্বাটে এবং অনেকটা নাইট কুইনের মতো। এ ফল লাল ও সাদা দুই রংঙ্গেরই হয়। টিএম এগ্রো ফার্মের মালিক ও ঘাটাইল উপজেলার ড্রাগনচাষী সমিতির সভাপতি আবু হাসনাত তালুকদার জানান, ২০১৮ সালে ঘাটাইল উপজেলার কাজলা গ্রামে আমি প্রথম ড্রাগন ফল চাষ শুরু করি। বর্তমানে ২০ বিঘা জমিতে আমার ড্রাগনের বাগান রয়েছে। ঘাটাইল উপজেলায় প্রায় ৩০০ একরের উপরে জমিতে ড্রাগনের আবাদ হয়। ছোট বড় মিলিয়ে বাগান রয়েছে ৫০/৬০টি। এক বিঘা জমিতে ৫০০টি চারা রোপণ করা যায়। প্রতি মৌসুমে একটি গাছ হতে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল পাওয়া যায়। টানা ১৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় ড্রাগন গাছ থেকে। উপজেলার সাগরদিঘী গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান শরীফ জানান, তিনি বেইলা গ্রামে দেড় একর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেছেন। বাগানে ফল আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে পাইকারী ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের চাইতে শহরে ড্রাগন ফলের চাহিদা বেশী। ঢাকার স্বপ্ন, ও আগোরাসহ বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে ড্রাগন ফল সরবরাহ করেণ চাষীরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, পাহাড়িয়া এলাকা ড্রাগন চাষের জন্য উপযোগ। ড্রাগন ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করছে এবং প্রতি বছরই আবাদ বাড়ছে। আমরা ড্রাগন চাষীদের সব সময়ই প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছি।