শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

রৌমারীতে থামছে না নদের ভাঙ্গন দিশেহারা মানুষ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রতিবছরেই ভাঙ্গছে ব্রম্মপুত্র নদ, সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে জমি জমা, ঘরবাড়ি, গরু ছাগল, গাছ পালা হারিয়ে অসংখ্য মানুষ অন্যের বাড়ি, গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কষ্টে বসবাস করছে। হঠাৎ করে আশ্বিনের শুরুতেই উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় লাল পানি রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি হয়ে মহনগঞ্জ ইউনিয়নের শেষ পর্যন্ত এলাকায় তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। বিলিন হচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিস্তীর্ণ জনপদ। নদী ভাঙ্গনে পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার চিত্র। নিশ্ব হচ্ছে নদের তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ভাঙ্গন এলাকার মানুষের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে সরকার বারবার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। রৌমারী সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর মহনগঞ্জ পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন রোধে বামতীর সংরক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে যাহা ৭.৩ কিলো মিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না থাকায় কাজের অগ্রগতি নেই। চর খেদাইমারী গ্রামের কোরবান আলী জানান, আশ্বিন মাসে হঠাৎ করে ভারত থেকে নেমে আসা পানি চরের মধ্যে রোপন করা বাদাম, আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এদিকে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি সড়াতেও সময় পাচ্ছি না। রাতারাতি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে পানির তীব্র ¯্রােত। বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার, আবু বক্কর মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান, আনছার আলী তুহিন মেম্বার, রুপচান মোল্লা, দলীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, কত্তিমারীর সুরুজ্জামানসহ আরো অনেকে জানান, নদী রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প সরকার দেয়। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, বাঁমতীর ভাঙ্গন রোধে রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন প্রকল্প সঠিক ভাবে ব্যায় ও কাজ হয় না। তাতে বন্যার আগেই পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনে ভয়ালরূপ দেখা দেয়। এতে বিলীন হয়ে যায় ঘরবাড়ি, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com