কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নস্থ জেএমঘাট পাহাড়ের পাশে অবৈধ করাত কল দেদার চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মোকতার নামে এক ব্যক্তি যথাযথ সনদপত্র ছাড়াই এই অবৈধ করাত কল (স্-মিল) চালাচ্ছেন। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়ে অভিযান চালালেও মিল মালিকরা তা আমলে আনছেন না। সড়ক, মহাসড়ক, জনবসতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ জেলার যত্রতত্র একের পর এক অনুমোদনহীন করাতকল ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে। ফলে জন ভোগান্তি ও পরিবেশের বির্পযয় বাড়ছে। পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স ছাড়াই তাঁরা বনের পাশে, সরকারি স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সদর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আশেপাশে এ মিল গুলো স্থাপনে প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালীরা। ফলে পরিবেশ হুমকির মুখে এবং ঘটছে নানান দূর্ঘটনা। পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সংগঠনের নেতা সালাউদ্দীন নূরী পিয়ারু বলেন, অবৈধ করাতকল গিলে খাচ্ছে বনের মূল্যাবান গাছপালা। এই অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করা না গেলে বনের মূল্যাবান গাছ অচিরেই ধ্বংস হয়ে গাছপালানহীন মহেশখালীর পাহাড়টি রইবে। যার কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষতিও হবে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বীপ মহেশখালী উপজেলায় প্রায় তিন ডজনের করাত কাল রয়েছে। যার মধ্যে হাতেগোনা দু/চারটি মিলের বৈধ কাগজপত্র বা লাইসেন্স থাকলেও। অন্যগুলি বাহুবলে চালাচ্ছে। করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত করাত-কল স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবেন না। শাপলাপুর জেএমঘাটের মোক্তার আহমদসহ ওইসব করাত অবৈধ করাত কল উচ্ছেদের করবেন বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদেকুল খান বলেন, যথাযথ অনুমতি ছাড়া অবৈধ কোন করাতকল (স-মিল) চালানো যাবে না। শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।