চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নিজ গাছতলায়, চাঁদপুর বাগাদী নিজ গাছতলায় অন্যের ফসলী ও মাছের গেরে নষ্ট করে বালু ভরাট, আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ কবির শেখ, কলু মোল্লা মাল, নুর মোঃ গাজী, শাহআলম মাল, আঃ রহমান, মোঃ কলিম উল্যা মাল, মোঃ মজিব শেখ, আওলাদ মাল, হারুন বেপারী, মোঃ সেলিম মাল, জাহাঙ্গীর আলম মাল, রাসেল মিয়াজী, শহিদ গাজী, জাহাঙ্গীর বেপারী, সিরাজ মাল, রিপন শেখ গং দের প্রায় ২ একর ১১ শতক সম্পত্তি প্রায় ১শ বছরের উপরে মালিকানা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ওই সম্পত্তির কিছু অংশে হঠাৎ করে বালি ভরাট করছে তারা। এ বিষয়ে মালিক পক্ষরা জিজ্ঞাসা করে যে, আমাদের ফসলী জমি নষ্ট করে ও মাছের ঘের নষ্ট করে কেন অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছে। তখন দিলীপ দালাল, সঞ্জয় ও সমীর গং সহ কিছু ‘জবর দখলকারীরা’ তারা তাদের এই জমির মালিক বলে দাবী করেন। যার কোন ভিত্তিই নেই। অথচ এই সম্পত্তিতে তারা বেদখল করার পায়তারা করছে বলে তা টের পেয়ে উক্ত সম্পত্তির মালিকপক্ষগণ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা ও এরপর এই সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি হয় গত আগস্ট মাসের ১০ তারিখে। যাতে উল্লেখ্য রয়েছে, রেজিঃকৃত দলিল মূলে মালিক হয়েছেন ২ একর ১১ শতাংশ ভূমির। তপছিল বর্ণিত নালিশী ভূমি নিয়া মোকদ্দমা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত নালিশী ভূমি সম্পর্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য অফিসার ইনচার্জ, চাঁদপুর মডেল থানাকে নির্দেশ দেন। তপছিল বর্ণিত নালিশী ভূমি প্রার্থিপক্ষের দখলে রয়েছে। যা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে নাই। গত ১৯ সেপ্টেম্বর’২২ পুনরায় উক্ত জায়গায় বেদখলদারীর উপর ১৮৮ ধারা জারী করেন আদালত। কিন্তু তারা এই প্রতিবেদকের কাছেও দখলকারীরা নিজেদেরকে জমির মালিক বলে দাবি করেছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে নালিশী ভূমিতে ড্রেজার দ্বারা মাটি ভরাট করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই শুনেছি এই সম্পত্তি মালিক নুর মোহাম্মদ হাজী, জাহাঙ্গীর আলম মাল, শহিদ গাজীসহ আরো ১০/১২ জনের। কিন্তু বর্তমানে যা দেখলাম বা শুনলাম তা সম্পূর্ণ অবৈধ, জোরজুলুম করছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আলম বলেন, আমি কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে বসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পেশী শক্তির কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি। কারন এই জমির মালিক বর্তমানে যারা আছেন, তারা খুবই নিরীহ লোক। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন দিলীপ দালাল গংরা। এছাড়া স্থানীয় শাহালম তিনিও বলেন, আমি জানি ১০৪ বছরের উপরে এই ২ একর ১১ শতক সম্পত্তির মালিক নুর মোহাম্মদ হাজীসহ আরো ১৩/১৪জন। কিন্তু আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি এই ২ একর সম্পত্তির উপর শকুনের নজর পড়েছে। যারা এই ২ একর ১১ শতক সম্পত্তির কিছু অংশে ড্রেজার দিয়ে ফসলী জমি নষ্ট করে বালু ভরাট করছে, পাশাপাশি আমরা যারা ভিটে মাটি নিয়ে বসবাস করে আসছি বহু বছর যাবত। আমরা আমাদের ছেলে সন্তানদের নিয়ে দিনরাত আতঙ্কে রয়েছি। তারা বলেছে আমাদেরকে, আমাদের শত বছরের বসত ভিটাও ভেঙ্গে ফেলবে এবং দখল করবে বলে হুমকি দেয়। এলাকার শহিদ গাজী ও তার স্ত্রী খুকি বেগম বলেন, আমরা বহু কষ্ট করে এখানে মাছ চাষ করেছি ও ধান চাষ করেছি দুই মুঠো আহার জোগাড় করার জন্য। কিন্তু ধান না উঠাতেই তারা যেন হঠাৎ করেই এই ফসলের মধ্যেই ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছে। তাই আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দেশে কি আইন কানুন নেই। এভাবেই জোর জুলুম চলবে আমাদের উপর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আমাদের আবেদন- এসব ‘জবর দখলকারী’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এছাড়া চাঁদপুরের গর্ব মাটি ও মানুষের আপনজন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মহোদয়ের কাছে দাবী- অনেকেই ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্য এখানে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করছে। এতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। রাজনীতিতে আপনাদের দীর্ঘদিনের শ্রম এসব অপশক্তির কাছে নষ্ট হতে পারে না। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।