পিরোজপুরের নাজিরপুরে নিম্ন অঞ্চলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আখের চাষ। বিগত মৌসুমের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ সফলতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছেন আখ চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৫ হেক্টর জমিতে ২৫০ টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় বাজারে বেশ একটা চাহিদা থাকায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে আখ চাষিরা।
নাজিরপুরের নিম্ন অঞ্চলের দেউল বাড়ি দোবড়া এলাকার আখ চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা আখ চাষ করতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়, আর প্রতি বিঘা জমির আখ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। তারা আরো জানায়, আখের পাইকাররা বাড়ি থেকে আখ কিনে নিয়ে যান।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাজিরপুরের নিম্ন অঞ্চল নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় যেকোনো ফসল চাষাবাদের জন্য মাটি উপযুক্ত। পদ্মডুবি গ্রামের আখ চাষি সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেন তিনি। ইতোমধ্যে কিছু আখ বিক্রি করেন সাহাবুদ্দিন। সম্পূর্ণ আখ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে যদি কোনো সহযোগিতা দেয়া হয়, তাহলে তারা আরো ভালো সফলতা অর্জন করতে পারবেন। নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘এখানের মাটি আখ চাষের জন্য লাভজনক। আমাদের এখানে আখ চাষিদের সরকারি কোনো সহযোগিতা দেয়া হয় না। চাষিদেরকে যদি সরকার সহযোগিতা দেয় তাহলে দিন দিন এ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।’