চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে টয়লেটের সমস্যা সমাধানসহ নতুন কিছু নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম মাহবুবুর রহমান। সদর হাসপাতালে প্রধান সমস্যা ছিল টয়লেটের সমস্যা। বিভিন্ন ওয়ার্ডের টয়লেটগুলো ছিল নোংরা, ভাঙ্গা ও অব্যবস্থাপনায়। ফলে রোগী ও স্বজনদের পরতে হয়েছে বিপাকে। তারা বিভিন্ন সময় টয়লেটের নোংরা পরিবেশের কারনে অভিযোগ দিলেও অতীতে কোন সমাধান হয়নি। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম মাহবুবুর রহমান রোগী ও স্বজনদের কথা চিন্তা করে, তাদের দুঃখ লাঘবের জন্য টয়লেটগুলো পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করেন এবং নতুন করে টাইলসসহ বিভিন্ন স্যানেটারির কাজ করে তা উপযোগী করে তুলছেন। এছাড়া হাসপাতালে বর্তমানে কার্ডিওলজি বিভাগে ৮টি বেড রয়েছে। কিন্তু এই বেডগুলো ছিল অগোছালো, অপরিচ্ছন্ন, এলেমেলো। সেখানে এখন ১৬টি উন্নত কার্ডিওলজি বেড বসানো হচ্ছে এবং সববেডই যেন কার্যকর থাকে তার পরিপূর্ণ ব্যবস্থাও নিচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম মাহবুবুর রহমান। সাধারণরত গুরুতর রোগী জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়, তারপর রোগীর অবস্থা গুরুতর বেশি হলে সাথে সাথে ঢাকায়/কুমিল্লায় রেফার করে দেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার। তবে এবার বিশেষ সুবিধা নেওয়া হয়েছে রোগীদের ক্ষেত্রে। জরুরী বিভাগের পাশেই একটি ওসেক রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে রোগীদের কয়েক ঘণ্টা রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। ওসেক রুমের ব্যবস্থা করায় রোগীদেরও ভোগান্তি কমবে অনেকটাই। তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম মাহবুবুর রহমান এর এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই দেখি রোগীদের তাৎক্ষনিক রেফার করা হলে তারা একটা ভোগান্তিতে পরে। সেখান থেকেই রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি কমানোর জন্য ওসেক রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। যেন আধুনিক হাসপাতালে একটিকে রুপান্তর করা যায়। এমনকি হাসাপাতালে চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে দালাল মুক্ত করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছি।