বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের আনারসের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা ধনবাড়ীতে ৬ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শেরপুরে কানাডা প্রবাসীর জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন কালিয়ায় ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি মেলা বাকাল মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান বদলগাছীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বাছাই কার্যক্রম নগরকান্দায় সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ গরমে স্বস্তি দিতে বাগেরহাটে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বন্দরে যত্রতত্র পার্কিং,জ্যামে নাকাল জনজীবন, মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা রায়গঞ্জে চার জয়িতার সাফল্য গাঁথা

বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই

বাসস:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদক প্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি হারুন আল রশিদ বাসস’কে জানান, বার্ধক্যজনিত জটিলতায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই যশস্বী সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।
মেয়ে দেশে ফিরলে তোয়াব খানের দাফন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার ওপর নির্ভর করছে তার দাফনের দিনক্ষণ। তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির বাচ্চু জানান, একমাত্র মেয়ে তানিয়া খান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর বনানী কবরস্থানে তোয়াব খানকে দাফন করা হবে। তানিয়া খানের দেশে পৌঁছানো নির্ভর করছে টিকিট পাওয়ার।
ওবায়দুল কবির বাচ্চু আরও জানান, ইউনাইটেড হাসপাতাল মরদেহ দুই দিন রাখার সময় পেয়েছি। তানিয়ার পৌঁছানোয় দেরি হলে মরদেহ অন্য কোথাও রাখা হবে। মেয়ে না ফেরা পর্যন্ত দাফন হবে না।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তোয়াব খানকে আজ শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিট মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তোয়াব খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, ফখরুল ও বিভিন্নমহলের শোক:
একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গভবন প্রেস উইং থেকে পাঠানো শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ।
তাঁর মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম জগতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা কখনো পূরণ হবার নয়। রাষ্ট্রপতি মরহুম তোয়াব খানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মৃত্যুর সময় এ অগ্রজ সাংবাদিকের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (০১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার ‘পি-ির প্রলাপ’ নামে অনুষ্ঠান তাকে শব্দসৈনিকে পরিণত করে। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তোয়াব খান।
মির্জা ফখরুলের শোক
প্রখ্যাত সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) এক শোক বার্তায় মির্জা ফখরুল দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
মির্জা ফখরুল প্রয়াত তোয়াব খানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছয় দশকের বেশি সময় ধরে পেশাদার সাংবাদিকতার পাশাপাশি জাতির বিবেক হিসেবে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন অভিভাবক হারালো। তিনি বলেন, তোয়াব খান সাংবাদিকতার জগতে একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিএফইউজে ও ডিইউজের শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান (৮৭) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার (১ অক্টোরব) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তোয়াব খান ‘নিউজবাংলা’ ও ‘দৈনিক বাংলা’র সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দ বলেন, তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যমে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। এসময় তারা সাংবাদিক তোয়াব খানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ সালে একুশে পদক পান। একই বছর তাকে সম্মানিত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করে তোয়াব খান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com