জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী প্রার্থীরা নিজ কর্মি-সমর্থকদের সাথে নিয়ে ছুটছেন ভোটার জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এ প্রচার প্রচারনা এগিয়ে রয়েছেন মোছা: কামরুন্নাহার আলো। নারী সংগঠক ও নারীনেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করা ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের এই সদস্যের স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, অভিঙ্গতা ও পরিচিতি প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ভোটার ও সংশ্লিদের অভিমত ফুটবল প্রতিকে মোছা: কামরুন্নাহার আলোর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মোছা: কামরুন্নাহার আলো। বিগত জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে স্বল্প সময় দায়িত্ব পালন করেছেন সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে। সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের দিকনির্দেশনায় জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে এই সময়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। উপজেলাটির ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য কামরুন্নাহার আলোর স্বামী বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু। ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু বৈরি সময়ে উল্লাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দুই যুগ দায়িত্ব পালন করা এই নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক থাকাবস্থায় মারা যান। এছাড়াও তিনি উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কামরুন্নাহার আলো ও প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নুর সন্তানেরাও জড়িয়ে আছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। বড়ছেলে মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল উল্লাপাড়া সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন, ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। এরপর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে একাধারে উল্লাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল। ছোট ছেলে মীর অপু’ও জড়িত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। উল্লাপাড়া উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে রয়েছে কামরুন্নাহার আলো ও তার পরিবারের ব্যাপক পরিচিতি ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি। যা তার নির্বাচিত হওয়াকে অনেকটাই সহজ করে তুলেছে। উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পান্না বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, পৌরসভাসহ রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এর আওতাভুক্ত। এই ওয়ার্ডে সদস্য পদে কামরুন্নাহার আলো ছাড়াও আরো দুইজন প্রতিদ্বন্দি রয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য, স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, পরিচিত ও অভিঙ্গতায় কামরুন্নাহার আলো এগিয়ে। জেলা পরিষদের এই ওয়ার্ডের জন্য কামরুন্নাহার আলো সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। মনিরুজ্জামান পান্না আরো বলেন, আমি নিজে একজন ভোটার, আমি কামরুন্নাহার আলোর জন্য কাজ করছি, ভোটার জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য ভোটারদের আহ্বান জানাবো এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের স্বার্থে কামরুন্নাহার আলোকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে মোছা: কামরুন্নাহার আলো বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, একজন রাজনৈতিক কর্মি। পারিবারিকভাবেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালিন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার রান্না করে দিয়েছি। আমি আশাবাদি সন্মানিত ভোটারেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। কামরুন্নাহার আলো আরো বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।