গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রামের মামুন শেখ নামে এক শিক্ষার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পলাশপুর বাজারে কাপাসিয়া-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকাবাসী শতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। ভূক্তভোগী হয়রানির শিকার মামুন শেখের মাতা ওম্মে কুলসুম জানান, তার স্বামী আবুল হোসেন মারা যাবার পর প্রথম সংসারের ছেলে সুমন মিয়া ওরফে মাসুম শেখ(৩৭) তাদের উপর অন্যায়ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে তার সমুদয় পাওনা বুঝে নিয়েও সে তাদের উপর জুলুম করছে বলে অভিযোগ করেন। মামুন শেখ উত্তরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শেষবর্ষের মেধাবী ছাত্র। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হয়রানী, ভয়-ভীতি ও হুমকীর প্রতিকার চেয়ে মামুনের পরিবার কাপাসিয়া থানায় ইতিপূর্বে একাধিক সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সম্প্রতি প্রতারনা করে ভূয়া হলফনামা তৈরীর মাধ্যমে প্রথম পক্ষের মায়ের কাবিন নামা দাখিল করলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। ফলে সৎ ভাই সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী মোসাঃ সুমী বেগম(৩৯)কে বাদী করে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছোটভাই মোঃ মামুন শেখ(২৩)কে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করে। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। পরিবারের সদস্যরা লিখিত ভাবে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। এছাড়া জাল-জালিয়াতীর মামলায় গত শুক্রবার রাতে সুমন শেখ গ্রেফতার হওয়ার পর তার স্ত্রী সুমী বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তাদের ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকী প্রদান করছে। বর্তমানে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।