পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আবারো বলেছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যেকোনো হত্যাকা- অত্যন্ত দুঃখজনক। গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিয়মিতভাবে মানুষ নিহত হচ্ছে। সীমান্তে দুর্ঘটনা ঘটলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে যে তারা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটাতে চান না।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলি…আমি আগেও বলেছি…এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং ভারতের জন্য লজ্জাজনক। তারা যদি তাদের (ভারতীয় পক্ষ) জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তা তাদের জন্য লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনকও।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। চার দিনের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় দুই শীর্ষ নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই পক্ষই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। উভয় পক্ষ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোর প্রচেষ্টা প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছে। তবে সর্বশেষ ঘটনায়, রোববার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের খৈতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করেছে।