শহীদ জেহাদের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শ্রদ্ধা জানানো শেষে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেনসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ছাত্রদল সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, শহীদ জিহাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের জেহাদের মতো দেশ প্রেমিক হিসেবে রূপান্তরিত করতে চাই। জেহাদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে নেতৃত্ব দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ গণঅভ্যুত্থানের সময় অবরোধ চলাকালে ১৯৯০ সালের এই দিনে (১০ অক্টোবর) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। শহীদ জেহাদের রক্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে তুঙ্গে নিয়ে যায়। আন্দোলনের অগ্নিশিখা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। জেহাদের পুরো নাম কে এম নাজির উদ্দিন জেহাদ। তার জন্ম ১৯৬৯ সনের ৬ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার নবগ্রামে। বাবা মরহুম কে এম মাহমুদ এবং মা বছিরুনেচ্ছা। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে জেহাদ নবম। নব্বইয়ের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সময় জেহাদ স্থানীয় সরকারি আকবর আলী কলেজে বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। জেহাদ ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি ও উপজেলা শাখার সহসভাপতি নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের ১০ অক্টোবর বিএনপিসহ সাত দলীয় জোট রাজধানীর পল্টনে মহাসমাবেশের ডাক দিলে অকুতোভয় ছাত্রনেতা জেহাদ নিজ এলাকা থেকে ৬০ জন ছাত্র নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। এ কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ সত্ত্বেও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বীরদর্পে অংশ নেন। একপর্যায়ে পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করলে জেহাদ গুলিবিদ্ধ হন।