ঢাকার আশুলিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজী দেলোয়ার হোসেন নামের এক বৃদ্ধের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে জমি দখলে নিতে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার নামে সাইনবোর্ড দিয়েও তা সরিয়ে নিয়েছে। ঘটনায় ভোক্তভোগী বৃদ্ধ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। সম্প্রতি আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির’র রাঙ্গামাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাজী দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া মৌজাস্থিত এসএ ১১৯ এবং আরএস ৫৬ নং দাগে তিনি ২২ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্র মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন। ওই জমি থেকে তিন শতাংশ জমি তিনি রাঙ্গামাটি স্ট্যান্ড বেটারী ফ্যাক্টুরী জামে মসজিদের নামে ওয়াকফা করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তার মালিকানাধীন ২২শতাংশ জমির উপর নজর পরে স্থানীয় মৃত কিয়াম উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম ও আব্দুল আলীম, বছির উদ্দিনের ছেলে শাখাওয়াত হোসনের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংশার জন্য বসলেও কোন লাভ হয়নি। পরে হাজী দেলোয়ার হোসেন বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ সাভার আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মোকদ্দমা নং ৩৬৬/২২ দায়ের করেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইব্রাহিম গংরা জমি দখলে নিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন। এরই সূত্র ধরে গেল মঙ্গলবার বিকেলে বিরোধপূর্ণ এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা ওই জমিতে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা মোঃ ওয়ালিদ বায়না সূত্রে জমির মালিক দাবী করে লোকজন নিয়ে জমিতে সাইনবোর্ড দেন। কিন্তু বিষয়টি আশুলিয়া থানায় সাধারন ডায়েরী (নং ৪৪০) করার পর সাইনবোর্ডটি সড়িয়ে নেয়। মোল্লা ওয়ালিদ রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জমিতে সাইনবোর্ড দেয়। বাঁধা দিতে গেলে নানা ভাষায় গালাগাল এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এছাড়া হাজী দেলোয়ার হোসেন আরো অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তার কাছে অভিযুক্তরা ২১ লাখ টাকা দাবী করে আসছে। টাকা দিলেই নাকি কোন ঝামেলা হবে না। এছাড়া তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলেও দাবী করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা মোঃ ওয়ালিদ জানান, জমিটি তিনি বায়নাসূত্রে কিনেছেন দাবী করে বলেন, রাঙ্গামাটি এলাকার ইব্রাহিম গংরা পৈত্রকসূত্রে মালিক। তাদের কাছ থেকেই জমি কিনেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে সাইবোর্ড দিয়েছেন এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই তবে তিনি নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া জমি যদি ওনি পান তাহলে ছেড়ে দেব বলেও জানান তিনি। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।