বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের জনবহুল মালগুদাম এলাকায় ট্রাকে সিলিন্ডার রেখে পাইপ দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে সিএনজি গ্যাস বিক্রি চলছে। উম্মুক্ত জায়গায় ঝুকিঁপূর্ন ভাবে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস কেনাবেচা করায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশাংকা করছেন এলাকাবাসি। গ্যাস বিক্রি বন্ধের জন্য আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মালগুদাম এলাকার ব্যবসায়িরা। অভিযোগে জানা গেছে, সান্তাহার শহরের বশিপুর মহল্লার মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গভীর রাতে ট্রাকে সিলিন্ডার রেখে বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ ভাবে গ্যাস বিক্রি করেছেন। বগুড়ার সিএনজি ষ্টেশন থেকে ট্রাকে করে গ্যাস সিলিন্ডার আনা হয়। একটি ট্রাকে বড় আকারের ২০ থেকে ৩০ টি সিলিন্ডার থাকে। শহর মানুষ শুন্য হলে গভীর রাতে ট্রাকের সিলিন্ডার থেকে পাইপের মাধ্যমে সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহনে গ্যাস বিক্রি হয়। দুরত্ব ও খরচ এড়াতে যানবাহনের মালিকরা ট্রাক থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে থাকেন। মালগুদাম এলাকার ইলিশ মাছের আড়তদার তাপস সরকার, ব্যবসায়ি জয়নাল আবেদীন, সুকুমার রায়সহ কয়েকজন বলেন, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে দীর্ঘ দিন ধরে মিজানুর রহমান অবৈধ ভাবে গ্যাস বিক্রি করে আসছেন। যে ভাবে ট্রাক থেকে পাইপের মাধ্যম ঝুকিঁপূর্ন ভাবে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে তাতে করে কোন বিস্ফোরন ঘটলে শহরের অর্ধেক এলাকা ধংস হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া যে স্থান থেকে গ্যাস বিক্রি করা হয় সেখান থেকে মাত্র এক থেকে দেড়শ গজের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বাংলা মদের সরকারি দোকান। এই দোকানে শত শত লিটার স্পিরিট মজুদ থাকে। এ বিষয়ে অবৈধ গ্যাস বিক্রেতা মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সিএনজি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গভীর রাতে নয় ভোর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ৭/৮ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হয়। বগুড়া থেকে গ্যাস নিয়ে আসতে ঝামেলা হয় তাই আমি স্বল্প পরিসরে গ্যাস এনে যানবাহন মালিকদের সহযোগীতা করছি। বিষয়টি নিয়ে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার কে বলেন উনিই ব্যবস্থা করবেন। ইউএনও আবদুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।