রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জামালপুর জেলার তিন হাজার প্রান্তিক পরিবারকে উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামপুরে সিডস কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা কে হচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেশবপুরে সংবাদ সম্মেলন চিলাহাটি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের কমিটি গঠন বদলগাছীতে কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ উলিপুরে ইউড্রেনের দুই পাশের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত কালীগঞ্জে সরকারি স্থান থেকে ফুলের হাট স্থানান্তর: বিপাকে প্রতিবন্ধী ইজারাদার পিআইবি,র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো নগরকান্দা ও সালথার সাংবাদিক বৃন্দ গজারিয়া স্বপ্নপূরণে ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন স্কুলশিক্ষক বাবা বরিশালে প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে আছে চুনারুঘাটে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজ

নুর উদ্দিন সুমন হবিগঞ্জ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আমলাতান্তিক জটিলতার কারণে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত বাল্লা শুল্ক স্টেশনটি স্থলবন্দর হিসেবে রূপ নিতে পারছে না থমকে আছে কাজ। জমি অধিগ্রহণে দীর্ঘস‚ত্রতার কারণে স্থাপন করা যায়নি বন্দরের অবকাঠামো।বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চুনারুঘাট উপজেলার ১৬২ নং জেএলস্থিত গাজিপুর মৌজায় ১৩ একর ভুমি অধিগ্রহন করে। ভুমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশাসনিক অনুমোদন করা হলে জেলা প্রশাসন ও স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত পুর্বক জেলা ভুমি বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক অধিগ্রহনের প্রস্তাব চুড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৩ জানুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে ৪ ধারা নোটিশ জারি করা হয়। ইতিমধ্যে ৭ ধারা নোটিশও জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ভ‚মি অধিগ্রহন আইন স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের ২০১৭ অনুযায়ী অধিগ্রহণকৃত ভুমির মুল্য নির্ধারণ করার জন্য উক্ত ২০১৭ সনের ২১ নং আইন নীতিমালার ৯নং অনুচ্ছেদের, ক,উপঅনুচ্ছেদের বিধান মতে মুল্য নির্ধারণের নির্দশনা রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই বিধান কার্যকর আছে। স্বাধীন বাংলাদেশের পর থেকে এখন পর্যন্ত একটি অধিগ্রহনও এই নীতিমালার বাইরে হয়নি। ভ‚মি অধিগ্রহন অধ্যাদেশ ২০১৭ এর ৯ ধারার ,ক-উপধারায় নির্দেশিত ৪ ধারা নোটিশ জারির তারিখের পুর্বের ১২ মাসের সমশ্রেনীর সামঞ্জস্যপুর্ণ ক্রয়বিক্রয় দলিলের গড় মুল্যের নির্ধারণের মাধ্যমে ম‚ল্য নির্ধারণ করার জন্য আইনে নির্দেশনা দেয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, দেশের বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানীর মালিক পক্ষ বন্দরের আশপাশে এলসির মাধ্যমে বানিজ্যিক আশায় গোডাউন ও এলসির অফিসের জন্য বেশ চড়া দামে জমি ক্রয় করেছেন। কোন কোন জমির শতক প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। পরিতাপের বিষয় আদৌ স্থলবন্দর হবে কিনা চুনারুঘাটবাসী এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কোম্পানী ও ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় রয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্বাসে ব্যবসায়ী ও চুনারুঘাটবাসী কিছুটা আশ্বস্থ হলেও, কোন কারণে বন্দর নিমাণে’ কোন বিঘ্নতা ঘটলে গণ আন্দোলন দেখা দিতে পারে। এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে চুনারুঘাটসহ হবিগঞ্জবাসী এবং সরকার হারাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। ১৯৫১ সালে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বাল্লা নামক স্থানে ৪ দশমিক ৩৭ একর জায়গা নিয়ে বাল্লা চেকপোস্ট চালু করা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে আবার তা চালু করা হয়। সেই শুল্ক বন্দরটি দিয়ে মাঝেমধ্যে সিমেন্ট রপ্তানি হয়ে থাকে। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলছে খোয়াই নদী। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে শ্রমিকরা মাথা ও কাঁধে করে পণ্য আনা-নেওয়া করে থাকেন। ফলে একদিকে ঝুঁকি, অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানিকারকদের অর্থ ব্যয় হচ্ছে বেশি। ২০১২ সালের ১১ জুন দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রতিনিধি দল কেদারাকোট এলাকাটি পরিদর্শন করে।
এরপর আরও কয়েক দফা পরিদর্শন করেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষই শুল্ক স্টেশনের কাছে কেদারাকোটে স্থলবন্দর করার ব্যাপারে একমত হয়। ২০১৭ সালে ৮ জুলাই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী হবিগঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় জানান, ওই বছরে একনেক সভায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে। অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপর স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ২১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবিত জমিতে বসতবাড়ি থাকায় আপত্তি জানান স্থানীয়রা। এ অবস্থায় থমকে যায় পুরো প্রক্রিয়াটি। তবে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্থলবন্দরের জন্য ১৩ একর ভ‚মি অধিগ্রহণে ভ‚মি জরিপ সম্পন্ন করা হয়। একাধিক গোপন সুত্র জানায়, নাম মাত্র মুল্য নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাটানো হয়েছে প্রস্তাব ,যা বাস্তবতার সাথে সাংর্ঘষিক। যদি জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত মুল্যই নির্ধারণ হয় তা হবে বন্দরের জন্য মারাতœক ভুমেরাং। চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনের সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এড. মাহবুব আলী বলেন, বাল্লা স্থলবন্দর হবিগঞ্জের জন্য বড় ধরনের একটি পাওয়া, যার কাজ অচিরেই শুরু হবে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাজ চলবে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতার নিরসন হবে। হবিগঞ্জের এডিসি রাজস্ব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, বাল্লা স্থলবন্দরের জায়গার সরকারী নিয়ম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। টাকা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com