রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় ফুলকপির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

বাজারে উঠেছে শীতের সবজি । এবার বগুড়া জেলায় কপির বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জেলার কৃষিকর্মকর্তারা।
উত্তরাঞ্চেলের সব চেয়ে বড় বগুড়ার পাইকারি হাট মহাস্থান সবজির হাট পাইকারী ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর । দেশে প্রত্যন্ত জেলা থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাঁক-ডাকে জমে ঊঠেছে বগুড়ার মহাস্থান হাট। আগাম ফুলকপি,বাঁধা কপি, মূলা, গাজরসহ নানা সবজিতে ভরে উঠেছে মহাস্থান হাট। এ হাট সাপ্তাহে দুই দিন বসলেও প্রতিদিনই সবজির বাজার বসে। দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীর ট্রকা বোঝাই করে ছুটে যাচ্ছে দূরে তাদের গন্তব্য স্থলে ।
মহাস্থান হাটের শিবগঞ্জের মেহেরুল ইসলাম জানান , গত বছর কপিতে ভ ালো লাভ হওয়ায় এবার অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে কপি চাষ করেছে। এ জন্য এবার কপির উৎপাদন বেড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান,জেলায় এবার ১৩৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রাচেয়ে বেশি জমিতে কপি চাষের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এ কৃষি অফিসার।তিনি জানান গত বছর কপির আবাদের লাভ বেশি হওযায় এবার অনেক কৃষক কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
একই জমিতে ৪ দফা ফুলকপির চাষ হয়ে থাকে বলে জানান মহাস্থান হাটে ফুলকপি বিক্রি করতে আসা আব্দুল কুদ্দুস। তিনি জানান প্রথম দফার উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রি করে ফেলেছে অধিকাংশ কৃষক। এখন দ্বিতীয় দফার চাষ করা কপি বাজারে এসেছে। দ্বিতীয় দফার ফুল কপি আকার বেশ বড়। কৃষক মেহেরুল ইসলাম জানান, তার দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা, তিনি প্রথম দফা চাষে ৪০ মণ কপি পেয়েছেন। এতে প্রায় ৩২ হাজার টাকা লাভ করেছেন। কৃষক আজমল হোসেন জানান, গতবছর ৫ বিঘা জমিতে কপি চাষ করে ৪ লাখ টাকা লাভ করেছেন। বিঘাতে ২৫০ মণ কপি পেয়েছেন। ৫ বিঘাতেতার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এবারও ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরের মত আশানুরুপ লাভ করবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বগুড়ায় কপির উৎপাদন সবসময় বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন জাতের ফুল কপি উৎপাদন হয়ে থাকে। যেমন ক্যাপটেন, সুদর্শন, রত্না, আইস বল, মুক্তি জাতের ফুল কপি।
প্রথম দফায় আগাম কপি চাষকরে কৃষক লাভবান হয়েছে। আজ থেকে দেড়মাস আগে কপি চাষ করে কৃষক প্রতিকেজি ফুলকপি ৮০ টাকায় বিক্রি করেছে। আর সেই কপি খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে। দ্বিতীয় দফায় চাষ করা কপিমান ভেদে ১৬০০ টাকা থেকে২০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরেফুল কপি বেচা কেনা হচ্ছে। এখনএ কপিখুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক হাত ঘুরে লাভের অধিকাংশ চলে যাচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে।
এ দিকে পাইকারি হাটে মূলার পড়ে গেছে। ৫০০ থেকে ৭০০টাকা মণ দরেঅর্থাৎ ১৫ থেকে ১৮ টাকা কেজিতেবিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ২০ /২২ টাকা পিস লাউ ১৫ থেকে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবারের মত এবার বাঁধা কপি বিদেশে রফতানি জন্য সবজি রফতানীকারকরা প্রস্ততিনিচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com